রাত পোহালেই রংপুর সিটি করপোরেশনের ভোট। এরই মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামীকাল মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে শুরু হবে ভোটগ্রহণ। চলবে বিকেল ৮টা পর্যন্ত।
আজ সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে রংপুর পুলিশ লাইন্স স্কুল মাঠ থেকে কেন্দ্রগুলোতে ইভিএমসহ অন্য সরঞ্জামাদি পাঠানো শুরু হয়েছে।
নির্বাচনে কাজ নিয়োজিত রয়েছেন প্রায় সাত হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। মাঠে থাকছে র্যাব ও বিজিবিসহ শতাধিক পুলিশের টহল গাড়ি। এ নির্বাচনে ৮৬টি ভোট কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করেছে নির্বাচনী ট্রেনিং কর্মকর্তা।
রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন বলেন, ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন এর জন্য সব ব্যবস্থা সম্পন্ন করা হয়েছে। নির্বাচনী পরিবেশ ঠিক রাখতে তিনস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সাদা পোশাকেও পর্যাপ্ত সংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন থাকবে।
রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বী করছেন। প্রার্থীরা হলেন—জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-ইনু) শফিয়ার রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরুজ্জামান পিয়াল, খেলাফত মজলিশের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল রাজু, জাকের পার্টির খোরশেদ আলম খোকন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের আবু রায়হান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেদী হাসান বনি ও লতিফুর রহমান মিলন।
২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর এ সিটিতে সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল। নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা হয়েছিল ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি। সে মোতাবেক এ সিটির বর্তমান নির্বাচিতদের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি।
নির্বাচনে ২ লাখ ১২ হাজার ৩০২ জন পুরুষ এবং ২ লাখ ১৪ হাজার ১৬৭ জন নারী ভোটার ২২৯টি কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
এবার মেয়র পদে ৯ জনসহ সংরক্ষিত ১১টি ওয়ার্ডে ৬৮ এবং ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৮৩ জন কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।