চলতি মৌসুমে আমন ধান ও চাল সংগ্রহ করতে ১৭টি নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে পরিপত্র জারি করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ৫ লাখ মেট্রিক টন চাল ও তিন লাখ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ হবে। প্রতি কেজি চাল ৪২ টাকা এবং প্রতি কেজি ধান ২৮ টাকা করে কেনা হবে।
ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত উপজেলাভিত্তিক বিভাজন মাঠ পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে। সংগ্রহ কার্যক্রম সফল করতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়। ধান ও চাল সংগ্রহ কার্যক্রম সফল করতে
নির্দেশনাগুলো হলো-
◽ধান সংগ্রহের ক্ষেত্রে বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সংগ্রহ ও মনিটরিং কমিটির সভা সম্পন্ন করতে হবে। কৃষকের অ্যাপের বাইরে উপজেলায় লটারি করে ধান সংগ্রহ দ্রুত শুরু ও শেষ করতে হবে। কৃষকের অ্যাপভুক্ত উপজেলায় রেজিস্ট্রেশন দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। এ জন্য কৃষক নির্বাচন ও দ্রুত ধান সংগ্রহ করতে হবে।
◽ধান সংগ্রহের বার্তাটি মাইকিং, লিফলেট বিতরণ, স্থানীয় কেবল টিভিতে প্রদর্শনের মাধ্যমে বহুল প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে।
◽‘অভ্যন্তরীণ খাদ্যশস্য সংগ্রহ নীতিমালা, ২০১৭’ অনুসারে নির্দেশসম্মত ২০২২ সালের আমন মৌসুমে উৎপাদিত ধান ও চাল সংগ্রহ নিশ্চিত করতে হবে। না হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
◽চাল সংগ্রহের জন্য মিল মালিকদের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করতে হবে। চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পরপরই মিলারদের অনুকূলে চুক্তি পরিমাণ চালের বরাদ্দপত্র ইস্যু করতে হবে। সংশ্লিষ্টদের এর অনুলিপি প্রদান করে স্ব স্ব জেলার ওয়েব পোর্টালে প্রকাশ করতে হবে।
◽চুক্তিযোগ্য যেসব মিল মালিক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চুক্তি সম্পাদন করবেন না, কিংবা চুক্তি সম্পাদন করে কোনো চাল সরবরাহ করবেন না- তাদের বিরুদ্ধে ‘অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যশস্য সংগ্রহ, ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ আদেশ-২০২২’ এবং ‘অভ্যন্তরীণ খাদ্যশস্য সংগ্রহ নীতিমালা-২০১৭’ এর আওতায় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
◽যেহেতু পাক্ষিক ছাঁটাই ক্ষমতা অপেক্ষা চলমান সংগ্রহ মৌসুমে বরাদ্দ কম, তাই জাতীয় পর্যায়ে চাল সংগ্রহ ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ৭০ শতাংশ, ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ৯০ শতাংশ এবং আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শতভাগ সম্পন্ন করার জন্য (তারিখ, পরিমাণ, সময়ভিত্তিক) সিডিউল প্রস্তুত করতে হবে। এ জন্য জেলা, উপজেলা ও গুদামভিত্তিক রোডম্যাপ তৈরি এবং সে অনুসারে সংগ্রহ সম্পন্ন করতে হবে।
◽হাস্কিং মিলারদের ক্ষেত্রে চুক্তিকৃত চাল সটিং করে সংগ্রহ করতে হবে।
◽বস্তার স্বল্পতা দেখা দিলে স্ব স্ব অধিক্ষেত্রের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সময়ে বস্তার স্বল্পতা নিরসনে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
◽সংগ্রহ কার্যক্রমে সর্বোচ্চ জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকগণের মনিটরিং জোরদার করতে হবে।
◽ধান ও চাল সংগ্রহ ত্বরান্বিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, সংরক্ষণ ও চলাচল কর্মকর্তা, ব্যবস্থাপক, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক সর্বদা সর্বোচ্চ সতর্ক থাকবেন।
◽খাদ্য গুদামে কৃষকবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। কৃষক যেনো হয়রানির শিকার না হন সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
◽সংগৃহীত সব চালের বস্তায় সর্বশেষ নির্দেশনা অনুযায়ী স্টেনসিল প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।
◽দ্রুততম সময়ের মধ্যে ধান ও চাল সংগ্রহ কার্যক্রম যুগপৎভাবে সম্পন্ন করতে হবে।
◽গুদামে স্থান সংকুলান না হলে ‘চলাচলসূচি প্রণয়ন নীতিমালা-২০০৮’ অনুসারে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, মহাপরিচালক (খাদ্য) স্ব স্ব অধিক্ষেত্রে বিধি মোতাবেক স্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে চলাচল সূচি জারি করবেন।
◽প্রতিদিন বিকেল ৫টার মধ্যে সব আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক দপ্তর থেকে ধান ও চাল সংগ্রহের তথ্য ই-মেইলে খাদ্য অধিদপ্তরের সংগ্রহ বিভাগে পাঠাতে হবে।
◽১৭ নভেম্বর জাতীয়ভাবে ধান ও চাল সংগ্রহের উদ্বোধন করা হয়েছে। স্থানীয়ভাবে পুনরায় কোনো আনুষ্ঠানিকতার অজুহাতে কোনোক্রমেই সংগ্রহ কার্যক্রম বিলম্ব করা যাবে না।
◽অভ্যন্তরীণ আমন সংগ্রহ ২০২২-২৩ মৌসুম চলাকালীন সময়ে সংগ্রহ কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তারা বিদেশ ভ্রমণ থেকে বিরত থাকবেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।