স্বপ্নের মেট্রোরেলে চড়ে প্রায় ১০ মিনিটে উত্তরা থেকে আগারগাঁওয়ে পৌঁছালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বহুল প্রতীক্ষিত এ উড়াল ট্রেনে প্রধানমন্ত্রীর ভ্রমণসঙ্গী ছিলেন দুই শতাধিক যাত্রী।
এরমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছোট বোন শেখ রেহানাসহ পরিবারের ১০ সদস্য এবং মেট্রোরেলে প্রথম এ যাত্রায় তার সফরসঙ্গী। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের সদস্য, শ্রমিক, শিশু ও শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) বেলা দুইটায় ১০ মিনিটে ট্রেনটি আগারগাঁওয়ে পৌঁছায়। এর আগে রাজধানীর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেন প্রধানমন্ত্রী।
এ ছাড়া প্রথম ট্রেনের নির্ধারিত যাত্রীরা হলেন—স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ২৫ মন্ত্রী, ১৯ প্রতিমন্ত্রী, তিনজন উপমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর ছয় উপদেষ্টা, সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ৯ সদস্য, ঢাকা মহানগরের ১২টি আসনের সংসদ সদস্য, সচিব এবং ঢাকার দুই সিটি মেয়র।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর ১৪ সদস্যকে প্রথম যাত্রায় মেট্রোরেলে চড়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়। মেট্রোরেলের উদ্বোধনী যাত্রায় যাত্রী সংখ্যা মোট ২২০ জন।
এর আগে দুপুর দেড়টার দিকে রাজধানীর উত্তরার পাঁচ নম্বর স্টেশন থেকে টিকিট কাটেন প্রধানমন্ত্রী। তারপর কার্ড পাঞ্চ করে স্টেশনের তৃতীয় তলায় ওঠেন। সেখানে গিয়ে সবুজ পতাকা ওড়ালে প্রথম ট্রেনটি স্টেশন ছেড়ে যায়।
দুপুর পৌনে দুইটায় ২ নম্বর বগিতে ওঠেন। তারপর ট্রেনটি উত্তরার উত্তর স্টেশন থেকে আগারগাঁওয়ের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। রেলযাত্রা সরাসরি সম্প্রচার করে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)।
সুধী সমাবেশের সূচি অনুযায়ী, প্রথমে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করা হয়। স্বাগত বক্তব্য দেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী।
শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বাংলাদেশে জাইকার প্রধান প্রতিনিধি ইচিগুচি তমোহিদে, বাংলাদেশ নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি। তারপর সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী।
কলমকথা/এমএনহাসান
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।