জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে কিছু জিনিসের দাম বেড়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তবে কেউ কেউ আবার অধিক মুনাফার জন্য অতিরঞ্জিত করছে।
শুভ জন্মষ্টমী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে শ্রী শ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ এবং বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদের নেতাদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
ভিডিও কনফারেন্সে গণভবন থেকে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দির ও চট্টগ্রামের জেএম সেন হলে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, করোনা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সব জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। ইউরোপে ইনফ্লেশন (মুদ্রাস্ফীতি) ১০ দশমিক ১ শতাংশে উঠে গেছে। সব দেশেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। আমাদের যে জিনিসগুলো আমদানি করতে হয়, তার প্রতিটির দাম বেড়ে গেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের এখানে কিছুটা কৃচ্ছ্রসাধন করতে হবে। আমি জানি আমাদের জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পরে কিছু জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। তবে যেটা স্বাভাবিকভাবে বাড়ার কথা নয়, কেউ কেউ আবার অধিক মুনাফার জন্য কিছু অতিরঞ্জিত করছে। কাজেই সেখানে আমরা মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করেছি এবং খোঁজখবর নিচ্ছি।
তিনি বলেন, আমরা কিছু ব্যবস্থা নেবো। যেমন- ৫০ লাখ মানুষ যাতে ১৫ টাকা কেজিতে চাল কিনতে পারে। এক কোটি মানুষকে আমরা পারিবারিক কার্ড দিয়ে দিচ্ছি, যাতে তারা ন্যায্যমূল্যে চাল-ডাল এবং তেল-চিনি কিনতে পারে। সেজন্য গতকাল আমি বৈঠক করেছি। প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম যেন মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে। মানুষ যেন কষ্ট না পায়, সেজন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।
এ সময় বিত্তশালীদের সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
শুভেচ্ছা বিনিময়কালে সনাতন ধর্মালম্বীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কখনো নিজের ভেতরে হীনম্মন্যতা রাখবেন না। নিজেকে আলাদা ভাববেন না। এই মাটিতে যাদের জন্ম তারা নিজেদের মতো করে নিজেদের ধর্ম পালন করবে।
তিনি বলেন, আমরা মানবধর্মে বিশ্বাস করি। আমাদের মহানবি হজরত মুহাম্মদ (সা.) তাই করতেন। শ্রীকৃষ্ণ সে কথাই বলে গেছেন। পবিত্র কোরআনেও রয়েছে যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে। কোনো ধর্মের ধর্মগুরু কখনো সংঘাত চাননি। শান্তি চেয়েছেন।
কলমকথা/এমএনহাসান
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।