ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বৈধতা নিয়ে রুলিং দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। আপিল বিভাগ বলেছেন দুর্যোগ মুহূর্তে মধ্যবর্তী সরকার দরকার।

গত বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) নজিরবিহীনভাবে সন্ধ্যা ৭টায় ভার্চুয়ালি বসে সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনের পক্ষে মত দেন ও রুলিং ইস্যু করেন। শুনানিতে অংশ নেন নবনিযুক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

প্রায় ঘণ্টাখানেক শুনানি শেষে ১৭ পৃষ্ঠার রুলিং দেয় সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ বলেন, শপথ নেয়ার ৭ মাসের মধ্যে পদত্যাগ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী একটি সাংবিধানিক সংকট তৈরি করে গেছেন। এ মুহূর্তে দেশে একটি মধ্যবর্তী সরকার দরকার। কাজেই ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার শপথ নিতে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা নেই। আদেশে আপিল বিভাগ আরও বলেন, দুর্যোগ মুহূর্তে এমনটি হতে পারে। ভবিষ্যতে যাতে এই অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ নিয়ে প্রশ্ন না ওঠে, তাই এ বৈধতা দেয়া হয়।  শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট ও আইন মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র বিষয়টি যুগান্তরকে নিশ্চিত করেছে।

সূত্র জানায়, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের পর জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করেন রাষ্ট্রপতি। সংসদ না থাকা অবস্থায় অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠন করা যায় কি না, এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের কাছে আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে  মতামত চেয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি।

আপিল বিভাগ সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মতামত দিয়ে বলেন, সংসদ না থাকা অবস্থায় অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠন করা যেতে পারে প্রধান উপদেষ্টা ও কয়েকজন উপদেষ্টা নিয়ে।

বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে আপিল বিভাগের এই মতামত পাওয়ার পর উপদেষ্টাদের শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি।

জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা বলেন, সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি মতামত চেয়েছিলেন যে, প্রধানমন্তী শেখ হাসিনা পদত্যাগের পর জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করেন রাষ্ট্রপতি। সংসদ না থাকা অবস্থায় অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠন করা যায় কি না। পরে আপিল বিভাগ সর্বসম্মতিক্রমে অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনের পক্ষে মত দেন ও রুলিং ইস্যু করেন।

সূত্র: যুগান্তর