গাজীপুরের শ্রীপুরে পরিবহনসংকটে কর্মস্থলে যেতে ভোগান্তি এবং ভাড়া বেশি নেওয়ার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা। আজ সোমবার (২ আগস্ট) শ্রীপুর পৌর এলাকায় ২ নম্বর সিঅ্যান্ডবি বাজারে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত এ বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন শ্রমিকরা।
এতে মহাসড়কের দুই পাশে দুই কিলোমিটারেরও বেশি দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জানান, গতকাল রবিবার (১ আগস্ট) থেকে কারখানা চালু থাকায় তাঁদেরকে কর্মস্থলে যেতে হচ্ছে। কিন্তু সড়কে একদিকে পরিবহনসংকট, অন্যদিক ভাড়া নেওয়া হচ্ছে কয়েক গুণ। এতে বিপাকে পড়েছেন তাঁরা। শ্রমিকরা আরো জানান, কারখানা খুলে দেওয়া হলেও যাতায়াতের কোনো সুব্যবস্থা করা হয়নি। এ সুযোগে মহাসড়কে চলাচলকারী সব লোকাল বাস, সিএনজি ও অটোরিকশা গলাকাটা ভাড়া আদায় করছে।
কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভাড়া তিন থেকে চার গুণ বাড়ানো হয়েছে। এ কারণে পরিবহনসংকট দূর করা ও ন্যায্য ভাড়ায় কর্মস্থলে যাওয়ার সুযোগের দাবিতে বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছেন তাঁরা। স্থানীয় একটি একটি কারখানা শ্রমিক রেশমা জানান, তাঁর বাসা থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কারখানায় যেতে হয় তাঁকে। স্বাভাবিক সময়ে লোকাল বাসে ভাড়া দেন ১০ থেকে ১৫ টাকা। আজ বাস না পেয়ে অটোরিকশায় যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। অটোচালক ভাড়া ১২০ টাকা চায়। পরে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও কোনো যান না পেয়ে বাধ্য হয়েই ৮০ টাকা ভাড়া দিয়ে কাজে এসেছেন।
স্থানীয় এসকিউ সেলসিয়াস কারখানার শ্রমিক রফিক জানান, গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি থেকে কারখানা পর্যন্ত যেতে অটোরিকশা ভাড়া মাত্র ২০ টাকা। আজ সেই ভাড়া ৫০ টাকা দিয়েও গাড়ি পাওয়া যাচ্ছে না। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে অটোরিকশা না পেয়ে হেঁটেই কারখানার উদ্দেশে রওনা হয়েছি। এসে দেখি অনেকেরই একই অবস্থা। তাই সবাই পরিবহন ভোগান্তি কমানো ও ভাড়া কমানোর দাবিতে একত্রিত হয়েছি। মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁদেরকে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।