নৌযানের শ্রমিক-কর্মচারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় লঞ্চ ও ড্রেজারসহ যাত্রী ও পণ্যবাহী সব ধরনের যান্ত্রিক নৌযানে পানি শোধনাগার স্থাপন বাধ্যতামূলক করার দাবি জানিয়েছে পরিবেশ ও নাগরিক অধিকারবিষয়ক বেসরকারি সংগঠন গ্রিন ক্লাব অব বাংলাদেশ (জিসিবি)। আজ বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) এক যুক্ত বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা নুরুর রহমান সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে সরকারের কাছে এই দাবি জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, আংশিক ও সম্পূর্ণ মিলিয়ে দেশের ১৯টি উপকূলীয় জেলা (প্রায় এক-পঞ্চমাংশ) প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বঙ্গোপসাগরের জোয়ার-ভাটায় প্রভাবিত। ফলে উপকূলীয় জনপদের নদ-নদীর পানি প্রাকৃতিকভাবেই মারাত্মক লবণাক্ত। এছাড়া দূষণের কারণেও বহু নদীর পানি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে গেছে।

সংগঠনটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, অভ্যন্তরীণ নৌপথে চলাচলকারী বেসরকারি নৌযানের শ্রমিক-কর্মচারীদের মজুরি-ভাতা বর্তমান বাজারমূল্যের তুলনায় খুব কম। অন্যদিকে, সরকারি নৌযানগুলোর শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা তুলনামূলক বেশি হলেও তাঁদের অধিকাংশের পক্ষেই বোতলজাত পানি কিনে ব্যবহার করা সম্ভব নয়।

তাই স্বল্প বেতনভোগী লাখ লাখ শ্রমিক বাধ্য হয়েই নিয়মিত দূষিত পানি পান ও গোসলসহ নানা কাজে ব্যবহার করছেন। এতে বহু শ্রমিক চর্ম ও আন্ত্রিক পীড়াসহ বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাঁদের স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা ও অনেকের জীবনীশক্তি হ্রাস পাচ্ছে। বিবৃতিতে বিআইডাব্লিউটিএ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের ড্রেজার, বিআইডাব্লিউটিসির

ফেরি, স্টিমার ও সী-ট্রাক, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ফেরিসহ সরকারি সংস্থাগুলোর সব জলযান এবং লঞ্চ-কার্গোসহ বেসরকারি মালিকানাধীন যাত্রী ও পণ্যবাহী সব ধরনের নৌযানে অবিলম্বে পানি শোধনাগার স্থাপনের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়।

এছাড়া অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী বিভিন্ন ডকইয়ার্ডে নির্মাণাধীন নৌযানগুলোকে এর আওতায় আনা এবং ভবিষ্যতে নৌযানের নকশা প্রণয়ন ও অনুমোদনের ক্ষেত্রে পানি শোধনাগার বাধ্যতামূলক করার দাবি জানিয়েছে জিসিবি।