প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ ৭মে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এর ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ‘ইঞ্জিনিয়ার্স ডে’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন:

“ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এর ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ‘ইঞ্জিনিয়ার্স ডে’ উপলক্ষ্যে আমি দেশের সকল প্রকৌশলীকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই।

দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন তৎপরতায় প্রকৌশলীদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপুর্ণ। প্রযুক্তি ও প্রকৌশলগত উন্নয়নই একটি জাতির উন্নয়নের মূল বিষয়। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী যুদ্ধ-বিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠনেও প্রকৌশলীগণ অনন্য ভূমিকা পালন করেছিলেন। প্রযুক্তি ও প্রকৌশলগত উন্নয়নের মাধ্যমে প্রকৌশলীরা দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিচ্ছেন।

আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে দেশে পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলি টানেল, এল এনজি টার্মিনাল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, ১০০টি বিশেষ অঞ্চলসহ সড়ক, রেল, নৌ ও যোগাযোগ অবকাঠামোগত উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। এ সব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে প্রকৌশলীগণই মূখ্য ভূমিকা পালন করেছেন। আমাদের সরকার সবসময়ই প্রকৌশলীদের পাশে রয়েছে। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আমরা আইইবি ভবন নির্মাণের জন্য রমনায় ১০ বিঘা জমি রেজিষ্ট্রেশন করে দিয়েছি। এছাড়া ভবনের কাজ শুরু করার জন্য পাঁচ কোটি টাকা, দাউদকান্দিতে ইঞ্জিনিয়ারিং স্টাফ কলেজ নির্মাণের জন্য ৭২ বিঘা জমি, স্টাফ কলেজের দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্মাণ কাজ শুরু করার জন্য ৪৬ কোটি টাকা, খুলনা কেন্দ্রের জন্য কেডিএ এর জায়গা বরাদ্দ, পূর্বাচলে আইইবি’র জন্য ২ বিঘা জমি, রাঙ্গাদিয়া, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, দিনাজপুর কেন্দ্র এবং ফেনী ও কক্সবাজার উপকেন্দ্রের জন্য জমি প্রদান করেছি। আইইবি ভবনের জন্য সর্বমোট ৪৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছি।

মুজিববর্ষ ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীলগ্নে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে। এ অনন্য অর্জনে প্রকৌশলীদের অবদান রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন ও তার বিরুপ প্রভাব মোকাবিলায় উপযোগী অবকাঠামো নির্মাণে এবং খাদ্য জ্বালানি নিরাপত্তা অর্জনে প্রকৌশলীদের আরো কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে প্রকৌশলীরা মূখ্য ভূমিকা রাখবেন বলে আমি প্রত্যাশা করি।

আমি ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এর ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করি।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু

বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

আইইবি এর ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ইঞ্জিনিয়ার্স ডে উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতির বাণী

ঢাকা, ২৩ বৈশাখ (৬ মে) :

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আগামীকাল ৭মে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এর ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ‘ইঞ্জিনিয়ার্স ডে’ উপলক্ষ্যে নিন্মোক্ত বাণী প্রদান করেছেন:

“ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এর ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ‘ইঞ্জিনিয়ার্স ডে’ উপলক্ষ্যে আমি দেশের সকল প্রকৌশলীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

দেশের প্রযুক্তি ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে প্রকৌশলীদের ভূমিকা অপরিসীম। প্রকৌশল শিক্ষার বিকাশ, মান নিয়ন্ত্রণ, প্রকৌশলীদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়ন, উচ্চতর প্রকৌশল শিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে আইইবি প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছে। জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রতিটি পদক্ষেপে প্রকৌশলীদের মেধা-মনন, শ্রম-ঘাম জড়িয়ে রয়েছে। বিশ্বায়নের এ যুগে প্রযুক্তি ও প্রকৌশল জ্ঞানের বিকাশ ব্যতীত সামগ্রিক উন্নয়ন অসম্ভব। সময়ের সাথে সাথে প্রকৌশল শিক্ষায় প্রতিনিয়ত পরিবর্তন আসছে। যুক্ত হচ্ছে নিত্যনতুন উদ্ভাবন ও জ্ঞান। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে দেশের প্রকৌশলীদের প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যায় সর্বশেষ জ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পর্কে অবহিত থাকা আবশ্যক বলে আমি মনে করি। আমি আশা করি, দেশের টেকসই উন্নয়নে প্রযুক্তিজ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে আইইবি’র নিরন্তর প্রয়াস অব্যহত থাকবে।

বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে সরকার ‘রূপকল্প ২০২১’ ঘোষণা করেছে। প্রণীত হয়েছে ডেল্টা প্ল্যান ২১০০। বাস্তবায়িত হচ্ছে পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর ও কর্ণফুলি টানেলের মতো মেগা প্রকল্প। সরকারের এসব মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে প্রকৌশলীদের ব্যাপক অবদান রাখার সুযোগ রয়েছে। প্রকৌশলীগণ নিজেদের অর্জিত জ্ঞান ও দক্ষতার প্রয়োগ ঘটিয়ে দেশের টেকসই উন্নয়নে অবদান রাখবেন- এটাই দেশবাসীর প্রত্যাশা।

আমি আইইবি’র ৭৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ইঞ্জিনিয়ার্স ডে’র সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করি।

জয় বাংলা।

খোদাহাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”