এসেছে আষাঢ় মাস, নেমেছে স্বস্তির বৃষ্টি। ভ্যাপসা গরম থেকে নিস্তার পেয়েছে নগরবাসী। বৃষ্টির ঠান্ডা বাতাস নগরবাসীর মনে এনে দিয়েছে প্রশান্তি। তাইতো অনেকেই এ বৃষ্টিকে স্বাগত জানিয়েছেন।

শুক্রবার (১৭ জুন) সকাল থেকে ঢাকার আকাশ মেঘলা ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ধীরে ধীরে মেঘ জমতে শুরু করে। এরপর সকাল ৯টা থেকে ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি শুরু হয়। পরে ১০টার দিকে শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টি। এতে বাইরে যাতায়াতকারী অনেক লোকজন বিপাকে পড়েন। বৃষ্টি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় বজ্রপাতও।

এদিকে আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ সংবাদমাধ্যমকে জানান, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

সেই সঙ্গে সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে।

সকাল ৬টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় রংপুরে সর্বোচ্চ ১০৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া কক্সবাজারে ৭৮, সন্দ্বীপে ৬৯, সিলেটে ৬৭, শ্রীমঙ্গলে ৬০, চট্টগ্রাম ও হাতিয়ায় ৫৪, কুতুবদিয়ায় ৪৯, টেকনাফে ৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। এ সময় ঢাকায় মাত্র ২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয় বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরের জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্বদিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এ ছাড়া সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১-৩ ও রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সে. হ্রাস পেতে পারে। শুক্রবার নেত্রকোনা ও সীতাকুণ্ডে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। বৃহস্পতিরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২ দমমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বিহার থেকে পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারী অবস্থায় রয়েছে।

সকাল থেকে ঢাকায় দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে, যা অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া আকারে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে।