চলমান জনশুমারি থেকে কেউ যেন বাদ না পড়ে এবং কেউ যেন একাধিকবার অন্তর্ভুক্ত না হয় সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২ উপলক্ষে বুধবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবন থেকে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও তার পরিবারের খানার তথ্য সংগ্রহ করা হয়। পরিসংখ্যান ব্যুরোর গণনাকারীরা রাষ্ট্রপতিকে গণনাভুক্ত করেন।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ সময় বলেন, ‘জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে জনশুমারি ও গৃহগণনার তথ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ সঠিক তথ্য দিয়ে এই শুমারি সফল করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম এবং সচিব সংযুক্ত মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বুধবার সকালে গণভবনে জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২ এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিএমও


বুধবার সকালে গণভবনে জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২ এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় গণনায় নিজের তথ্য অন্তর্ভুক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। করোনা মহামারিসহ নানা কারণে কয়েক দফা পেছানোর পর অবশেষে মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে শুরু হয়েছে জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২। এটা চলবে ২১ জুন মঙ্গলবার পর্যন্ত।

১৪ জুন রাত ১২টা (শূন্য মুহূর্ত ১৫ জুন) ‘শুমারি রেফারেন্স পয়েন্ট/সময়’ হিসেবে এবং ১৫ থেকে ২১ জুন ‘শুমারি সপ্তাহ’ হিসেবে নির্ধারিত হয়েছে। এটি দেশের ষষ্ঠ জনশুমারি।

বর্তমানে দেশের মোট জনসংখ্যা কত, তা জানতেই মূলত মঙ্গলবার রাতে রেলস্টেশন, লঞ্চ টার্মিনাল, কারওয়ান বাজার, বাসস্ট্যান্ডসহ সারা দেশে এ ধরনের স্থানগুলোতে ভাসমান মানুষকে গণনাসহ তাদের সম্পর্কে মৌলিক জনমিতিক, আর্থ-সামাজিক ও বাসগৃহ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের মধ্য দিয়ে শুরু হয় জনশুমারি।