পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুল মান্নান বলেছেন, দেশে জরুরি কোনো আঘাত এলে সেই পরিস্থিতি মোকাবিলার সক্ষমতা আমাদের এখনও কম। আমাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে।

শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে প্রথম জাতীয় অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ সম্মেলনের সমাপনীর প্রথম পর্বে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, অসংক্রামক রোগ যেহেতু চমক সৃষ্টি করতে পারে না। সে কারণে রোগীরা অবহেলিত থেকেই যায়। এখন থেকে এই অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে বিশেষেজ্ঞদের সঙ্গে সরেকারেরও চেষ্টা করা উচিত।

ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপকে নীরব ঘাতক উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এসব রোগ হওয়ার আগে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা করতে হবে। শহরের তুলনায় গ্রামে অসংক্রামক রোগ বেশি। বিশেষ করে হাওরাঞ্চলে আমাশয় রোগ বেশি। আশ্বিন-কার্তিকে একটি মানুষও থাকত না আমাশয়হীন।

তিনি আরও বলেন, গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে কমিউনিটি ক্লিনিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এখান থেকে ৩২ ধরনের ওষুধ বিনা মূল্যে দেয়া হয়। এটা বড় ব্যাপার।

মন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে আমাদের কাজ করতে হবে। তবে এই মুহূর্তে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওমিক্রন নিয়ে ব্যস্ত। মহামারি নিয়ন্ত্রণে এলে এ নিয়ে কাজ করতে হবে। বুধবার শুরু হওয়া এ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামসহ ৩০টি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান।

সম্মেলনের সমাপনী দিনের প্রথম পর্বে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশিদ ই মাহবুব।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সাংসদ ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ডা. এম এ ফায়েজ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. হেলাল উদ্দিন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. এ বি এম মাকসদুল আলম, গ্লাসগো ক্যালেডনিয়ান ইউনিভার্সিটির ডেপুটি ভাইস চ্যান্সেলর ডা. জেমস মিলার, ওজিবিএসএর সভাপতি অধ্যাপক ফেরদৌসী বেগম।