প্রেম করে পালিয়ে মজিবুর রহমানকে বিয়ে করে মালা আক্তার। এর পরই অশান্তি শুরু হয় সংসারে। এক পর্যায়ে মালা রাজধানীর যাত্রাবাড়ী মিরহাজীরবাগ এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়। পরে বুড়িগঙ্গা থেকে গৃহবধূ মালা আক্তারের ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ফতুল্লার তালতলা এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদী থেকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত মালা আক্তার যাত্রাবাড়ী মিরহাজীরবাগ এলাকার নূর নবীর একমাত্র মেয়ে। পাগলা কোস্টগার্ড সদস্যরা জানান, নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নিহতের পরিবারের অনুরোধে লাশ উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহতের চাচা নুরুজ্জামান জানান, এক বছর আগে মিরাজীবাগ এলাকার ইঞ্জিনিয়ার গলির মতিউর রহমান মোল্লার ছেলে মজিবুর রহমানের (২০) সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়ে মালা ঘর ছেড়ে পালিয়ে বিয়ে করে।
বিয়ের পর থেকে তাদের সংসারে অশান্তি চলছে। কারণে অকারণে প্রায় সময় মালার ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালাতো মজিবুর। এতে সহ্য করতে না পেরে মালা বাবার বাড়ি চলে আসতো। পরে মজিবুর এসে জোর করে তার বাড়িতে মালাকে নিয়ে যেতো। গত ১১ আগস্টও মালাকে মারধর করলে সে বাবার বাড়ি চলে আসে। তিনি আরও জানান, ১১ আগস্ট সন্ধ্যার পর মজিবুর এসে মালাকে তার বাবার বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে মালা নিখোঁজ।
পরে সন্দেহ হলে মজিবুরকে আটক করে স্থানীয় থানা পুলিশে হস্তান্তর করেছি। আটকের পর মজিবুর জানিয়েছে, তার সামনে থেকে মালা পোস্তগোলা ব্রিজ থেকে নদীতে লাফিয়ে পড়েছে। কিন্তু মালার লাশে আঘাতের চিহ্ন বলছে তাকে নির্যাতন করে হত্যার পর লাশ নদীতে ফেলে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আটক মজিবুরের বিরুদ্ধে মামলা করবো বলে জানান নিহতের চাচা নুরুজ্জামান।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।