ভারত থেকে আসছে ১০ লাখ ডোজ সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা।

আজ শনিবার বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে টিকাগুলো দেশে এসে পৌঁছার কথা রয়েছে। এর আগে ভারত সরকার সেরাম ইনস্টিটিউটকে বাংলাদেশে ১০ লাখ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকা (কোভিশিল্ড) টিকা রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রের বরাত দিয়ে ওই দেশটির সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, নেপাল ও মিয়ানমারেও ১০ লাখ ডোজ করে টিকা রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে ভারত সরকার। ভারতে তৈরি অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা সরবরাহে সেরাম বেক্সিমকোর সঙ্গে চুক্তি করেছিল। কিন্তু কভিড পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ভারত গত মার্চ মাসের পর বিদেশে টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। ভারত ছয় মাস বিরতির পর আবারও বিশ্বে টিকা রপ্তানি শুরু করল।

কভিড মোকাবিলায় তিন কোটি ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা কিনতে বাংলাদেশ ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তি করেছিল। সেই চুক্তির আওতায় ভারত থেকে গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে ৭০ লাখ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা এ দেশে এসেছিল। তবে চুক্তির আওতায় দুই কোটি ৩০ লাখ ডোজ টিকা ভারতের কাছ থেকে পাওয়ার অপেক্ষায় আছে বাংলাদেশ। ওই চুক্তির বাইরে ভারতে তিন দফায় বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে ৩৩ লাখ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা দিয়েছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ভারত বিশ্বের ৯৫টি দেশকে উপহার ও রপ্তানি হিসেবে ছয় কোটি ৬৩ লাখ ৬৯ হাজার ৮০০ ডোজ টিকা পাঠিয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের এক কোটি তিন লাখ ডোজ রয়েছে, যা বিশ্বে ভারতের মোট উপহার ও রপ্তানির ছয় ভাগের এক ভাগ।