বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং। তিনি আজ (মঙ্গলবার) বেলা পৌনে ১২টার দিকে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে যান।
এছাড়া তিনি বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের পরিদর্শক বইতে স্বাক্ষর করেন।
এ সময় বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকাল পৌনে ১০টায় তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় পৌঁছান ভুটানের প্রধানমন্ত্রী। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ডা. শেরিংকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়। বিমানবন্দরে শেরিংকে অভ্যর্থনা জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেরিংয়ের সম্মানে গার্ড অব অনারও দেয়া হয়।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে যোগ দিতেই তার এই সফর।
বিমানবন্দরে পৌঁছে তিনি সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যান। সকাল ১০টা ৩৬ মিনিটে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে যান ভুটানের প্রধানমন্ত্রী। সেখানে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর পরিদর্শক বইয়ে সই করেন এবং একটি গাছ রোপন করেন। এরপর ১০টা ৫০ মিনিটে জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে বের হয়ে যান তিনি।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ডা. শেরিংয়ের সম্মানে হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নৈশভোজের আয়োজন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার বিকেলে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে মুজিববর্ষের ১০ দিনের অনুষ্ঠানের ৮ম দিনে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর বিশ্বের প্রথম রাষ্ট্র হিসেবে ভুটান বাংলাদেশকে স্বাধীনতার স্বীকৃতি দেয়। এরই মধ্য দিয়ে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সূচনা হয়। সম্প্রতি প্রথমবারের মতো ভুটানের সঙ্গে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি সই করে বাংলাদেশ।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং বাংলাদেশের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।