রোজার প্রথম দিনেই তীব্র গ্যাস সংকটে পড়েছেন রাজধানীর অনেক এলাকার বাসিন্দা। সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতার বানা‌তে গিয়েও ভোগান্তিতে পড়েছেন রোজাদাররা। রোববার (৩ এপ্রিল) সকাল থে‌কেই রাজধানীর গ্রিন রোড, ক্রিসেন্ট রোড, সেন্ট্রাল রোড, ভুতের গ‌লি, কাঁঠাল বাগান, বাসাবো, সবুজবাগ এলাকায় গ্যাস সরবরাহে সমস্যা দেখা দেয়। নিভু নিভু করে জ্বলতে থা‌কে চুলা। দুপু‌রের পর একেবা‌রে বন্ধ হ‌য়ে যায় গ্যাস। খোঁজ নি‌য়ে জানা গে‌ছে, কো‌নো কো‌নো এলাকায় সামান্য পরিমাণ গ্যাস ‌ছিল। কিন্তু সে আগুনে ইফতারি বানা‌নো থে‌কে শুরু ক‌রে দৈন‌ন্দিন বাসার কো‌নো রান্নাও করার মতো অবস্থা ছিল না। এজন্য প্রায় সব এলাকার বা‌সিন্দা‌দের প্রথম রমজা‌নেই দোকান থেকে ইফতার কিনতে দেখা যায়।

ক্রিসেন্ট রোডের বাসিন্দা ফারজানা জানান, ‌বিকে‌লে অফিস থে‌কে ফি‌রে ইফতার বানা‌তে গি‌য়ে দে‌খি চুলায় গ্যাস নেই। সেই গ্যাস সন্ধ্যা পর্যন্ত আসেনি। বাধ্য হ‌য়ে ইফতার দোকান থেকে কিনে আনি। জা‌নি না, গ্যাস কখন আস‌বে। শুধু ফারজানা নয়, গ্যাস সংকটের কারণে ওই এলাকার অনেক বাসাতেই ইফতার তৈরি করা যায়নি। ফলে সবাই বাইরে থেকে ইফতার কিনেছেন। কেউ কেউ বাসায় থাকা কেরোসিনের স্টোভের ওপর ভরসা করছেন। ও‌য়েস্ট অ্যান্ড স্ট্রিট এলাকার বাসিন্দা ম‌নোয়ারা বলেন, প্রায় সময় দুপুর পর্যন্ত বাসার চুলায় গ্যাস থাকে না। আবার যখন থাকে তখন গ্যাসের চাপ এতটাই ধীরগতি থা‌কে, রান্না করা যায় না।

কিন্তু আজ রোজার প্রথম দিন, বাসায় ইফতার বানাবো; অথচ আজকের দিনেও গ্যাসের এমন অবস্থা! স‌ত্যিই দুঃখজনক। ভু‌তের গ‌লির বা‌সিন্দা ইফ‌তেখার আহ‌মেদ বলেন, গ্যাস পু‌রোপু‌রি সরবরাহ থাকে না এটা আমা‌দের এলাকার দীর্ঘদিনের সমস্যা। তাই ব‌লে রোজার সময়ও গ্যাস থাকবে না এর চেয়ে দুর্ভাগ্য আর কী হতে পারে। মাস গেলে ঠিকই বিল দিই। অথচ প্রথম রোজার দিনই ইফতার বাইরের হো‌টেল থেকে কিনে আনতে হলো। গ্যাস সংকটের নগরবাসীর এমন অভিযোগের বিষয়ে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের উপ-মহাব্যবস্থাপক সাখাওয়াত হোসেনকে কল করে জান‌তে চাইলে তি‌নি ব‌লেন, আমিও শু‌নে‌ছি ওসব এলাকায় গ্যাস সমস্যার কথা। সংশ্লিষ্ট বিভা‌গের সঙ্গে কথা বল‌বো, যা‌তে গ্যাস সরবরাহ দ্রুতই স্বাভা‌বিক হয়।