আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, লকডাউনের পরে গণপরিবহন চলাচলে সুযোগ দেওয়া হলে সবাইকে স্বাস্থ‌্যবিধি মেনে চলতে হবে, তা না হলে সরকার আবারও কঠোর লকডাউন দিতে বাধ্য হবে। তিনি শপিংমল, দোকান-পাট ও বাজারগুলোতে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলারও আহ্বান জানান।

রোববার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির উদ্যোগে আয়োজিত খাদ্য ও সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা জানিয়েছেন। তিনি তার সরকারি বাসভবন থেকে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণ ও নগদ সাহায্য নিয়ে যারা অনিয়ম করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ত্রাণ ও নগদ অর্থ যাতে বেহাতে না যায় সেদিকে সবার খেয়াল রাখতে হবে এবং যথাযথ জায়গায় যেন ত্রাণ পৌঁছে সেদিকেও নজর দিতে হবে।’ ভাসমান ও ছিন্নমূল মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা উচিত জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এরাই সাহায্য পাওয়ার যোগ্য।’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জানান, বরিশাল বিভাগে কলেরার প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় বরগুনা জেলার জন্য দুই হাজার ওরস্যালাইন ও দুইশ পুশ স্যালাইন এবং বরিশাল বিভাগের অন্যান্য জেলার জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগের মাধ্যমে সাত হাজার ওরস্যালাইন ও পাঁচশ পুশ স্যালাইন বিতরণ করা হবে।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘পরীক্ষীত, মানবিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও দুরদর্শী নেতৃত্বে সংকট মোকাবিলা করে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে উন্নয়নের ধারায় এগিয়ে যাবে অদম্য বাংলাদেশ।’ ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির চেয়ারম্যান একেএম রহমতুল্লাহর সভাপতিত্বে এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাসিম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার রোকেয়া সুলতানা, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক সামছুন্নাহার চাঁপা, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান ও কেন্দ্রীয় কার্যকরী সদস্য আবদুল আউয়াল শামীম।