আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটি হবে তার জাতিসংঘে ১৮তম ভাষণ। এর আগে তিনি ১৭ বার জাতিসংঘে ভাষণ দিয়েছেন। ইতিমধ্যে তার যুক্তরাষ্ট্র সফরের সকল কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হয়েছে।

আগামী রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেএফকে এয়ারপোর্টে অবতরণ করবেন প্রধানমন্ত্রী। তাকে স্বাগত জানানোর সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দলে একমাত্র মন্ত্রী হিসেবে থাকছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এ মোমেন। এছাড়াও থাকবেন বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, অটিস্টিক আন্দোলনের বিশ্বনেতা সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল এবং সংসদ সদস্য আব্দুস সোবহান গোলাপ। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও আসছেন। পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং আরও কয়েকজন কর্মকর্তা আসবেন জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের সমন্বয়সাধনের জন্য। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণের পর নিউইয়র্কে কর্মরত সাংবাদিকদের সংবাদ সম্মেলনে ভার্চ্যুয়ালেই কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি প্রবাসীদের একটি সমাবেশে একইভাবে ভার্চ্যুয়ালেই বক্তব্য দেবেন। এই সমাবেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নতুন নেতৃত্বের নামও ঘোষণা করা হতে পারে। ২৫ সেপ্টেম্বর শনিবার তার ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশ্যে নিউইয়র্ক ত্যাগের কথা। সেখানে চিকিৎসার ফলোআপ ছাড়াও মার্কিন প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে ভার্চুয়ালে বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে।

আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর ভার্জিনিয়া এবং নিউইয়র্কে প্রবাসীরা শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে। কেক কাটা ছাড়াও শেখ হাসিনার বিশ্বনেতা হয়ে উঠার আলোকে একটি সমাবেশ হবে নিউইয়র্কে। বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের যুক্তরাষ্ট্র শাখার এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে কুইন্সে ওয়ার্ল্ডফেয়ার মেরিনা মিলনায়তনে। প্রধান অতিথি থাকবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এ মোমেন। উল্লেখ্য, করোনার কারণে একেবারেই কম প্রতিনিধি দল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এবার জাতিসংঘের অধিবেশনে অংশ নেবেন। গণমাধ্যম কর্মীদের সংখ্যাও থাকছে কম। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অধিবেশনের ডেস্কেও সীমিতসংখ্যক কূটনীতিক ও পদস্থ কর্মকর্তারা বসবেন। শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি বজায় থাকবে সবখানে।