প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন শুধু আওয়ামী লীগের শাসনামলেই হয়েছে। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যানুষ্ঠানে অংশ নিতে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন তিনি। সেখানে বিবিসির এক সাক্ষাৎকারে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে নিয়ে স্মৃতিচারণের পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশের নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন।
বিবিসি’র সাংবাদিক লরা কুনেসবার্গের আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে তার সরকারের প্রতিশ্রুতি সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবশ্যই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এবং অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন প্রতিষ্ঠার জন্যই আমার সংগ্রাম।
রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) প্রচারিত সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গুমের বিষয়ে অনেকেই অভিযোগ করতে পারেন, কিন্তু তা কতটা সত্য তা বিচার করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, সেখানে গণতন্ত্র ছিল না, গণতান্ত্রিক অধিকার ছিল না, তাই আমি আমার দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামরিক শাসকরা দীর্ঘদিন ধরে দেশ শাসন করেছে এবং তারা দল গঠন করেছে এবং ভোটের জন্য তারা কখনো জনগণের কাছে যায়নি।
তিনি বলেন, একটি দেশ একা চলতে পারে না। কারণ এটি একটি আন্তঃনির্ভর বিশ্ব। সুতরাং, এই পরিস্থিতিতে, সদস্য দেশগুলোর জন্য কমনওয়েলথের অর্থ অনেক বড়। প্রতিটি দেশ একসাথে কাজ করতে পারে।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে ব্যক্তিগত স্মৃতি নিয়ে তিনি জানান, ১৯৬১ সালে যখন তিনি (রানি) তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সফর করেছিলেন এবং তিনি তাকে(ব্যক্তিগতভাবে প্রথমবার) দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, তখন আমরা খুব ছোট এবং আমার বাবার (বঙ্গবন্ধুর) অফিসে গিয়েছিলাম। কারণ আমরা জানতাম যে তিনি সেই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। তাই আমরা সবাই, পুরো পরিবার, দূরবীন নিয়ে জানালায় অপেক্ষা করেছি। ফলে আমরা তাকে আরও স্পষ্টভাবে দেখতে পেয়েছি।
তিনি জানান, তিনি যখন প্রধানমন্ত্রী হন, তিনি প্রতিটি কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনে রানির সঙ্গে দেখা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি প্রায় সাতটি কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছি। প্রতিবারই আমি তার সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেয়েছি। রানির আমন্ত্রণে অলিম্পিক গেমসে যোগ দিতে গিয়েছিলাম। এ কারণে দীর্ঘদিন ধরে তার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
তথ্যসূত্র: বাসস
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।