রোববার (১৪ আগস্ট) সকালে হিলি বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৫ থেকে ৬ টাকা বেড়েছে চালের দাম। ১৫৫ টাকা লিটারের সোয়াবিন তেল এখন বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়।
১০০ থেকে ১৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে প্রতিটি মসলার দাম। ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ৫০ টাকা। আবার ৩৮ টাকা হালির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৬ টাকা হালিতে। ২২ টাকার পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৮ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে।
বেড়েই চলেছে দিনাজপুরের হিলি বাজারে প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম। দাম বাড়ায় দিশেহারা নিম্ন আয়ের মানুষ। দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে। আদাও। ৬০ টাকার আদার কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
বাজার খরচ করতে আসা ভ্যান চালক গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘আমরা খেটে খাওয়া মানুষ, সারাদিনে কামাই হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। সংসারে খানেয়ালা ৬ জন। চালের কেজি ৬০ টাকা। আবার সব কিছুর দাম দেখছি বেশি। এই স্বল্প আয়ে সংসারের চাহিদা কিভাবে মিটাবো?’
এক দিনমজুর বলেন, এক টাকাও উপার্জন বাড়েনি। কিন্তু প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়েছে অনেক। সারাদিন কামাই করে যা নিয়ে বাজারে আসি, সেই অর্থ দিয়ে সংসার খরচ হচ্ছে না।’ হিলি বাজারের কয়েকজন মুদি ব্যবসায়ী বলেন, প্রতিটি পণ্যই বেশি দামে আমাদের কিনে আনতে হচ্ছে। ফলে আমরাও বাধ্য হচ্ছি বেশি টাকায় বিক্রি করতে।’
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।