দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধনীর প্রস্তাব চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোট কেন্দ্রে অনিয়ম, পেশিশক্তির ব্যবহার প্রতিরোধে ভোটগ্রহণ বন্ধ করার ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে প্রিসাইডিং অফিসারের হাতে। এ ছাড়া রাজনৈতিক দলের সব স্তরের কমিটিতে নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে ২০৩০ সাল পর্যন্ত সময় দিচ্ছে ইসি।
সব মিলে নতুন নির্বাচন কমিশন আরপিওতে নতুন ধারা-উপধারা যুক্ত করাসহ এক ডজনের বেশি সংশোধনী আনার প্রস্তাব চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। গতকাল প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন,
নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে আরপিও সংশোধনীর ফাইল অনুমোদন দিয়েছে। আজ সংশোধনী ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হতে পারে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, কমিশন আরপিওর সংশোধনীর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে।
সংলাপে আসা বিভিন্ন সুপারিশও বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। যতটুকু সংশোধনী আনা প্রয়োজন বলে ইসি মনে করেছে ততটুকু সংশোধনীর প্রস্তাব করা হয়েছে। এখন ইসি সচিবালয় এটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে।
ইসি সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশনকে আরও শক্তিশালী করতে আরপিওসহ অন্যান্য নির্বাচনী আইন সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। রাজনৈতিক দলের সংলাপের কারণে এই সংশোধনী আটকা ছিল।
এর আগে ইসি সংলাপ চলাকালে আরপিওর সংশোধনী আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিলেও পরে সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়। ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, নির্বাচনে অনিয়ম হলে প্রিসাইডিং অফিসাররা যাতে সংশ্লিষ্ট ভোট কেন্দ্রের নির্বাচন বন্ধ করতে পারেন, সেই বিষয়ে তাদের ক্ষমতা দেওয়ার প্রস্তাব করেছে নির্বাচন কমিশন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।