সরকারিভাবে হজে যাওয়ার খরচ ঘোষণা করার পর এবার বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাওয়ার খরচ জানা গেল। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যারা এবার হজ করবেন, তাদের গতবারের তুলনায় প্রায় দেড় লাখ টাকা বেশি খরচ হবে। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সদস্য কোনো এজেন্সির ব্যবস্থাপনায় এ বছর হজে যেতে মাথাপিছু খরচ পড়বে সর্বনিম্ন ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। কুরবানির খরচ হাবের এই প্যাকেজের মধ্যে ধরা হয়নি। কুরবানি বাবদ অর্থ প্রত্যেক হজযাত্রীকে আলাদাভাবে সঙ্গে নিতে হবে। গতবছর বেসরকারিভাবে হজের খরচ পড়েছিল ৫ লাখ ২২ হাজার ৭৪৪ টাকা। সেই হিসাবে এ বছর খরচ বাড়ছে প্রায় দেড় লাখ টাকা। হাব সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বৃহস্পতিবার রাজধানীর পল্টনের হোটেল ভিক্টোরিতে সংবাদ সম্মেলন করে তাদের ‘হজ প্যাকেজ’ ঘোষণা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বেসরকারি হজ প্যাকেজে বিমান ভাড়া ধরা হয়েছে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭ টাকা। মক্কা ও মদিনায় বাড়ি ভাড়া ২ লাখ ৪ হাজার ৪৪৪ টাকা। পরিবহণ ভাড়া ৩৫ হাজার ১৬২ টাকা ধরা হয়েছে। খাওয়ার খরচ হিসেবে ৩৫ হাজার টাকার পাশাপাশি ১ লাখ ৬০ হাজার ৬৩০ টাকা দিতে হবে ‘সার্ভিস চার্জ’ হিসেবে।
তসলিম বলেন, ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে বেসরকারি হজ যাত্রীদের নিবন্ধন শুরু হবে। হজযাত্রীদের নিজ উদ্যোগে পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে হবে; পাসপোর্টের মেয়াদ থাকতে হবে ২০২৩ সালের ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। বুধবার সচিবালয়ে হজ ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত নির্বাহী কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয়, চলতি মৌসুমে সরকারিভাবে হজের খরচ পড়বে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।