এক বছর চার মাসের মাথায় বিমান বাংলাদেশে এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) পদ থেকে সরানো হয়েছে ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামালকে।
বুধবার (১৩ জুলাই) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে তাকে বদলি করা হয়েছে। পাঠানো হয়েছে সমাজসেবা অধিদফতরের ডিজি হিসেবে। তার জায়গায় নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন অতিরিক্ত সচিব মো. যাহিদ হোসেন।
প্রজ্ঞাপনে বিমানের এমডির বদলির কারণ ‘জনস্বার্থ’ উল্লেখ করা হলেও অনেকেই বলছেন সাম্প্রতিক বিমানের নানা ‘অনিয়ম’-এর কারণে বদলি হয়েছেন তিনি। বিমানের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, চার কোটি টাকার বেশি খরচ করে কানাডার টরন্টোতে পরীক্ষামূলক বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনা, পাইলট নিয়োগে অনিয়ম, পরিকল্পনা অনুযায়ী নিউইয়র্ক, টরন্টো ফ্লাইট পরিচালনা করতে না পারা, দুর্নীতির অভিযোগে বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তাদের চাকরিতে বহাল করার মতো বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল।
মূলত টরন্টো রুটে বারবার পরিবর্তন আনা ও পাইলট নিয়োগে অনিয়মই তাকে সরানোর মূল কারণ বলে জানা গেছে। তবে একটি সূত্র দাবি করছে, বিমানের এ এমডি বেশ শৃঙ্খল ছিলেন।
পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন মাহবুবকে চাকরিচ্যুত করার মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছেন।
বিমানে ‘ক্যান্সারের মতো পচনধরা অংশ কেটে ফেলা’র ঘোষণার মতো কঠোর সিদ্ধান্তের কারণে এমডিকে সরিয়ে দিতে একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছিল বলে জানা গেছে। এ ছাড়া বিমানবন্দরে একের পর এক দুর্ঘটনার ঘটার পরিণতি হিসেবে বদলি হয়ে থাকতে পারেন এমডি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।