পুলিশের চোখে স্প্রে মেরে দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় রাজধানীতে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এজন্য প্রতিটি থানা ও অন্যান্য ইউনিটকে চেকপোস্ট বসানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রোববার ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, আমরা রেড অ্যালার্ট জারি করেছি। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি হয়েছে।
দুই জঙ্গির ছবি, তাদের শরীরের বিবরণ জানিয়ে ডিএমপির প্রতিটি ইউনিটকে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ নির্দেশনা পাওয়ার পর নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে তল্লাশি বসিয়েছে থানা পুলিশ। পাশাপাশি র্যাব, ডিবি, কাউন্টার টেররিজম ইউনিটসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ইউনিটগুলো তৎপর হয়েছে।
এদিন দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটের দিকে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রধান ফটকের সামনে থেকে মোটরসাইকেলে করে এসে ২ আসামিকে ছিনিয়ে নেয় জঙ্গিরা। সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে হাজির করে হাজত খানায় নেওয়ার সময় চার আসামির মধ্যে দুইজনকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর আজিজ সুপার মার্কেটে নিজের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান জাগৃতির কার্যালয়ে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন প্রকাশক দীপন।
এ মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন- বরখাস্ত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া, আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আবদুল্লাহ, মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান, আবদুর সবুর সামাদ ওরফে সুজন ওরফে রাজু, খাইরুল ইসলাম ওরফে জামিল ওরফে জিসান, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়ার ও শেখ আবদুল্লাহ ওরফে জুবায়ের ওরফে জায়েদ ওরফে জাবেদ ওরফে আবু ওমায়ের।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি মামলার রায়ে আসামিদের সবার মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন আদালত।
এদিকে আদালত থেকে পালিয়ে যাওয়া দুই জঙ্গি সদস্যকে ধরিয়ে দিলে প্রত্যেকের জন্য ১০ লাখ টাকা করে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ পুলিশ।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।