ঈদকে সামনে রেখে প্রয়োজনীয় কেনাকাটা সাড়তে পরিবার-পরিজনের কাছে বেশি অর্থ পাঠান প্রবাসীরা। ৯ অথবা ১০ জুলাই দেশে কোরবানির ঈদ উদযাপিত হবে। সেই উৎসবকে কেন্দ্র করেও দেশে বেশি রেমিট্যান্স আসবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকাররা।

প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স প্রবাহে সুবাতাস অব্যাহত রয়েছে। চলতি মে মাসের ১২ দিনে ৮৩ কোটি ৬২ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বর্তমান বিনিময় হার হিসাবে (প্রতি ডলার ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা) টাকার অঙ্কে এই অর্থের পরিমাণ ৭ হাজার ৩১৬ কোটি টাকা।

গত (৩ মে) দেশে রোজার ঈদ উদযাপিত হয়েছে। ঈদকে সামনে রেখে এপ্রিল মাসে মোট ২০১ কোটি (২.০১ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। এরমধ্যে প্রথম ১৩ দিনে (১ থেকে ১৩ এপ্রিল) এসেছিল ৯২ কোটি ৭৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

একক মাসের হিসাবে এপ্রিল মাসে ১১ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স দেশে এসেছিল।

প্রতি বছরই দুই ঈদকে সামনে রেখে প্রয়োজনীয় কেনাকাটা সাড়তে পরিবার-পরিজনের কাছে বেশি অর্থ পাঠান প্রবাসীরা। ৯ অথবা ১০ জুলাই দেশে কোরবানির ঈদ উদযাপিত হবে। সেই উৎসবকে কেন্দ্র করেও দেশে বেশি রেমিট্যান্স আসবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকাররা।

অতীতে দেখা গেছে, দুই ঈদের পরের এক-দুই মাস রেমিট্যান্স কিছুটা কম আসে। কিন্তু এবার উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে।

টানা পাঁচ মাস কমার পর ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে বেড়েছিল অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই সূচক। কিন্তু ফেব্রুয়ারিতে ফের হোঁচট খায়। ওই মাসে ১৪৯ কোটি ৬০ লাখ ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। মার্চ মাসে এসেছিল ১৮৬ কোটি ডলার।

সবশেষ এপ্রিল মাসে এসেছে ২০০ কোটি ৯৫ লাখ ডলার; যা গত বছরের এপ্রিল মাসের প্রায় সমান। ২০২১ সালের এপ্রিলে এসেছিল ২০৬ কোটি ৭৬ লাখ ডলার।