পবিত্র লাইলাতুল ক্বদর উপলক্ষে দেশবাসীসহ বিশ্বের সব মুসলমানকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পবিত্র শবে ক্বদর উপলক্ষে বুধবার (২৭ এপ্রিল) দেয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী এ শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানান। বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম।
মানুষের ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তির জন্য ইসলামের সুমহান আদর্শ মানুষের পাথেয়। এমন একটি সময়ে পবিত্র রমজান মাস পালন করা হচ্ছে, যখন বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে করোনা মহামারি, সংঘাত, যুদ্ধবিগ্রহ,
অভাব-অনটনসহ বিভিন্ন কারণে হাজার হাজার মানুষ দুর্বিসহ দিন অতিবাহিত করছে। শবে কদরের এই পবিত্র রজনীতে এসব সংকট থেকে উত্তরণের জন্য সর্বশক্তিমান আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করার জন্য তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, পবিত্র লাইলাতুল ক্বদর মানবজাতির জন্য অত্যন্ত বরকত ও পুণ্যময় রজনী। এ রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। পবিত্র ধর্মীয় গ্রন্থ আল কোরআন লাইলাতুল কদরের রাতে নাযিল হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, আমি ক্বদর রাতে কোরআন নাযিল করেছি।
তাই মুসলিম উম্মাহ’র কাছে শবে ক্বদরের গুরুত্ব, তাৎপর্য ও ফজিলত অত্যধিক। আবদুল হামিদ বলেন, আমাদের ক্ষণস্থায়ী জীবনে হাজার মাসের চেয়েও বেশি ইবাদতের নেকি লাভের সুযোগ এনে দেয় এই রাত। এই মহিমান্বিত রজনী সবার জন্য ক্ষমা, বরকত,
সমৃদ্ধি ও কল্যাণ বয়ে আনুক মহান আল্লাহর দরবারে এ মোনাজাত করি। একইভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, লাইলাতুল ক্বদর এক মহিমান্বিত রজনী। সিয়াম সাধনার মাসের এই রাতে মানবজাতির পথ নির্দেশক পবিত্র আল-কোরআন পৃথিবীতে নাযিল হয়।
পবিত্র কোরআনের শিক্ষা আমাদের পার্থিব সুখ-শান্তির পাশাপাশি আখিরাতের মুক্তির পথ দেখায়। মহান আল্লাহতা’য়ালা লাইলাতুল ক্বদরের রাতকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন।
হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও এ রাতের ইবাদত উত্তম। এই রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয়। পবিত্র এই রাতে ইবাদত-বন্দেগীর মাধ্যমে আমরা মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারি। অর্জন করতে পারি তাঁর অসীম রহমত, নাজাত, বরকত ও মাগফিরাত।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।