বন্যা ও বৃষ্টির কারণে বাজারে সবজির সরবরাহ কিছুটা কমেছে। ফলে কিছু সবজির দাম কেজিতে পাঁচ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শ্যামবাজার, কারওয়ান বাজার ও জোয়ারসাহারা বাজার ঘুরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
সিলেট, ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগের বেশকিছু জেলা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার সব ধরনের শাক-সবজির ক্ষেত তলিয়ে গেছে। যে কারণে রাজধানীর বাজারে শাক-সবজি ও মাছের সরবরাহ কিছুটা কমেছে। বাজারে অনেক সবজির দাম কেজিতে পাঁচ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
কারওয়ান বাজার কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী রবিউল আওয়াল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যার কারণে কারওয়ান বাজারে আগের তুলনায় সবজি কম আসছে। এ কারণে বেগুন, শসা, লাউ, চালকুমড়া, লতিসহ কয়েকটি সবজির দাম বেড়েছে। খুচরায় প্রতি কেজি শসা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা, করলা, কাঁকরোল, পটোল ৪০ টাকা, লাউ পিস ৫০ টাকা, চালকুমড়া পিস ৩০ টাকা, লতি ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, চায়না গাজর ১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ’
জোয়ারসাহারা মাছবাজার ঘুরে দেখা গেছে, নলা রুই (৬০০ থেকে ৭০০ গ্রাম) প্রতি কেজি ২১০ টাকা, রুই (৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম) প্রতি কেজি ২৩০ টাকা, এক থেকে দেড় কেজি ওজনের রুই ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, দুই থেকে তিন কেজি ওজনের রুই প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাতল তিন থেকে চার কেজি ওজনের ৩৫০ টাকা কেজি, পাঙ্গাশ ১৫০ টাকা, শরপুঁটি ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৭০ টাকা, পাবদা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, শিং সাইজভেদে ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতার নাগালের বাইরে ইলিশ মাছ। ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে।
মুরগির বাজার অপরিবর্তিত রয়েছে। ব্রয়লার কেজি ১৫০ টাকা, সোনালি ২৭০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুরগির ডিমের ডজন ১৩০ টাকা। গরুর মাংস কেজি ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকা, খাসির মাংস ৯০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
ওই বাজারের মাছ ব্যবসায়ী উজ্জ্বল মিয়া ও শিপন বর্মণ বলেন, ‘বাজারে মাছের সরবরাহ কিছুটা কম। সব মাছের দামও আগের তুলনায় বেড়েছে। মাছের দাম সামনে আরো বাড়তে পারে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।