সামাজিক দায়বদ্ধতা তরুণ প্রজন্মের মধ্যে অনেক বেশি থাকে তার বাস্তব উধারণ, যশোর জেলার, মনিরামপুর উপজেলার, রোহিতা ইউনিয়নের এক তরুণ যুবক আশরাফুল ইসলাম।
১৯৯৯ সালে ২২ অগাস্ট জন্ম। সাত ভাই বোনের সব থেকে আদরের ছোট ভাই আশাফুল। এস এস সি পাশ করেন স্থানীয় রোহিতা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে। পরবর্তীতে এই এস সি পাশ করেন ডাঃ আব্দুল রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজ, যশোর থেকে।
বর্তমানে অর্নাস ২য় বর্ষে নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্র।

করোনায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সময় নষ্ট না করে বাবা ও ভাই এর সাথে নিজেদের ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান সময় দেন। তরুণ যুবকে থামিয়ে রাখতে পারেন নাই কোন বাঁধা নিজের কাজের পাশাপাশি নিজ এলেকায় অবহেলিত ছাত্র ছাত্রীদের সহযোগিতায় নিবেদিত এই মানুষটি

জন্ম রোহিতা গ্রামে বেড়েওঠা শেখ পাড়ায়, যেখানে শিক্ষার আলো খুব কম। দারিদ্র্যতার মেঘে মেঘে এলেকার পিতা মাতারা সন্তানের একাডেমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে পারাটায় অনেক কষ্টের সামাজিক দায়বদ্ধতা ও নিজ এলেকায় সকলের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য। ২০১৬ সনে প্রতিষ্ঠা করেন রোহিতা ছাত্র কল্যাণ সংস্থার। সহপাঠী ও দুই একজন বড় ভাই এর সহায়তা আজ সামাজের দর্পন হয়ে দাড়িয়ে ছাত্র কল্যাণ সংস্থাটি। রাজনৈতিক বা এলেকার বিত্তশালী দের ধরা ছোঁয়ার বাহিরে এই সংগঠন। ২০১৬ সাল থেকে শুরু করে ২০২০ সাল পযন্ত ৭০০ এর বেশি ছাত্র ছাত্রীদের বই সহ লেখাপড়া জন্য সহায়তা করেছে সংস্থা। এই করোনা মধ্যে খাদ্য সহায়তা করেছে অনেকের।

ছাত্র কল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠতা সভাপতি জন্ম দিন আজ। এমন মানুষের আমাদের সমাজের খুব প্রযোজন তাই বেঁচে থাকুন বহুদিন ধরে আশরাফুলরা। শুভ জন্মদিন প্রিয় ভাই অগ্রগতির এই পথে হাটব সকলে একসাথে। যত বাঁধা থাকনা পথে এগিয়ে যেতে হবে বহুদূর।