খ্রিষ্টানদের ছয়টি সমিতি পেল সমবায় পুরস্কার

জেমস আব্দুর রহিম রানা, স্টাফ রিপোর্টার :

সার্বিকভাবে শিক্ষা-স্বাস্থ্য সেবার পাশাপাশি দেশের ক্ষুদ্র খ্রিষ্টান সম্প্রদায় অবদান রেখে যাচ্ছে সমবায় ক্ষেত্রেও। তারই ধারাবাহিকতায় এ বছর ৪৯তম জাতীয় সমবায় দিবসে জাতীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কমপক্ষে ছয়টি খ্রিষ্টানদের দ্বারা পরিচালিত সমিতি পেল শ্রেষ্ঠ সমবায়ের সম্মাননা ও পুরস্কার।

সমিতিগুলো হলো দি মেট্রোপলিটান খ্রীষ্টান হাউজিং সোসাইটি লি:, তুমিলিয়া খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি:, হারবাদাই খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি:, ধরেন্ডা খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি:, মঠবাড়ী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি ও পাগাড় খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি:।
৭ নভেম্বর জাতীয় সমবায় দিবসে দি মেট্রোপলিটান খ্রীষ্টান হাউজিং সোসাইটি লি: এবং তুমিলিয়া খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি: শ্রেষ্ঠ সমবায় সমিতির সম্মাননা লাভ করে।

৭ নভেম্বর ঢাকার আগারগাঁয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জনাকীর্ণ অনুষ্ঠানে সমিতি দুটির চেয়ারম্যান আগস্টিন পিউরীফিকেশন ও ফ্রান্সিস পি রোজারিও (বাবু) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো: তাজুল ইসলাম এমপি’র হাত থেকে স্বর্ণপদক গ্রহণ করেন। জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ সমবায়ের সম্মাননা লাভ করে মঠবাড়ী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি, হারবাদাই ক্রেডিট ও পাগাড় ক্রেডিট। উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ সমবায়ের সম্মাননা লাভ করে সাভারের ধরেন্ডা ক্রেডিট।

আমেরিকান মিশনারি ফাদার চার্লস যোসেফ ইয়াং সিএসসি দেশে পঞ্চাশের দশকে প্রতিষ্ঠা করেন দি খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি:, ঢাকা। এরপর থেকেই ক্রমে দেশের প্রায় প্রতিটি ধর্মপল্লীতে অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে সমবায় সমিতিগুলো। এই সমিতিগুলোই মূলত দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় ব্যাংকের চাহিদা পূরণ করছে। উন্নত হচ্ছে খ্রিষ্টান সমাজের আর্থ-সামাজিক অবস্থা। স্থানীয় মন্ডলীতেও অবদান রাখছে সমিতিগুলো।

ঢাকা বিভাগে খ্রিষ্টান সমবায় সমিতিগুলোর অভিভাবক সংগঠন দি সেন্ট্রাল এসোসিয়েশন অব খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন (কাক্কো) লি: এর অধীনে রয়েছে ৪৬টি (খ্রিষ্টানদের দ্বারা পরিচালিত) সমিতি। কাক্কো ভাইস-চেয়ারম্যান অনিল লিও কস্তা ডিসিনিউজকে বলেন, খ্রিষ্টানদের দ্বারা সমবায় সমিতিগুলো ভালো কাজ করছে বলেই তার স্বীকৃতিস্বরূপ পুরস্কার পাচ্ছে। এটা ইতিবাচক বিষয়। যাঁরা দূরদর্শীভাবে সমিতিগুলোতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাঁদের সমবায় সমিতিগুলোই সম্মাননা লাভ করেছে বলে তিনি মনে করেন। তিনি আরো বলেন, সমিতির নেতৃত্বের সাথে সদস্যদেরও আদর্শ হতে হবে, তবেই সেই সমিতি ও সমাজ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।