রাজধানীর উত্তরায় বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের কংক্রিটের গার্ডার আছড়ে পড়ে হতাহতের ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না গ্যাঝুবা গ্রুপ করপোরেশনের (সিজিজিসি) গাফিলতি পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের একথা জানান সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী।
সচিব বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী- ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অবহেলা, গাফলতি পেয়েছে তদন্ত কমিটি। গতকাল (সোমবার) কাজ করার কথা ছিল না, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাউকে না জানিয়ে কাজ করছিল।’
সোমবার বিকালে রাজধানীর উত্তরার জসীমউদ্দীন সড়কে বিআরটি প্রকল্পের একটি গার্ডার ক্রেইন দিয়ে ট্রেইলারে তোলার সময় পড়ে প্রাইভেটকারের ৫ যাত্রী নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে দুই শিশু ও একজন নারী। নিহতরা হলেন আইয়ুব আলী হোসেন রুবেল (৫৫), ফাহিমা আক্তার (৩৮), ঝর্ণা আক্তার (২৭), ঝর্ণা আক্তারের দুই শিশুসন্তান জান্নাতুল (৬) ও জাকারিয়া (৪)। এ সময় আহত হন আরও দুজন।নিহতদের স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, গার্ডার পড়ে হতাহত হওয়া ব্যক্তিরা ঢাকায় একটি বউভাতের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ফিরছিলেন।
এ ঘটনার পর সন্ধ্যায় সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব আমিন উল্লাহ নূরী ঘটনাস্থলে পরিদর্শন শেষে সরকারের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের কমিটি গঠনের কথা জানান।
সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নীলিমা আখতারকে প্রধান করে গঠিত ওই কমিটি আজ প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছে বলে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের জানান সচিব আমিন উল্লাহ নূরী।
এ সময় সাংবাদিকরা প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না- জানতে চাইলে সচিব আমিন উল্লাহ নূরী বলেন, ‘আমরা সংশ্লিষ্ট সবাইকে শোকজ করব। চূড়ান্ত প্রতিবেদন আসলে সিদ্ধান্ত নেব।’
এদিকে সোমবার দিবাগত রাতে নিহত ফাহিমা আক্তার ও ঝর্না আক্তারের ভাই আফরান মণ্ডল বাবু উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করেন। অবহেলার কারণে এ ঘটনা ঘটায় ক্রেনের চালক, সিজিজিসি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।