জিআই সনদ পেয়েছে বাংলাদেশের বাগদা চিংড়ি। সম্প্রতি পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর এ স্বীকৃতি প্রদান করে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রার জনেন্দ্র নাথ সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সম্প্রতি দেওয়া এই স্বীকৃতি সনদে বলা হয়েছে, ‘প্রত্যায়ন করা যাচ্ছে যে, ভৌগলিক নির্দেশক নিবন্ধন বইতে মৎস্য অধিদপ্তরের নামে ২৯ ও ৩১ শ্রেণিতে জিআই-১১ নম্বরে বাংলাদেশের বাগদা চিংড়ি পণ্যের জন্য ০৪.০৭.২০১৯ থেকে নিবন্ধিত হলো।’
জানা গেছে, ২০১৯ সালের মে মাসে বাগদা চিংড়ির জিআই সনদ পেতে আবেদন করেছিল বাংলাদেশ। গত বছরের ৬ অক্টোবর গেজেট এবং আন্তর্জাতিক জার্নালে বিষয়টি প্রকাশ করে ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস বিভাগ।
নিয়ম অনুযায়ী, জার্নালে প্রকাশের দুই মাসের মধ্যে কেউ আপত্তি না করলে সেই পণ্যের জিআই সনদ পেতে আর কোনো বাধা থাকে না।গত বছরের ৬ ডিসেম্বর ছিল এ বিষয়ে আপত্তি দেওয়ার শেষ দিন। এই সময়ের মধ্যে অন্য কোনো দেশ এতে আপত্তি না করায় প্রথম আবেদনকারী হিসেবে বাংলাদেশ জিআই সনদ পেয়ে যায়।ফলে বাগদা চিংড়ির একক স্বত্ব এখন শুধুই বাংলাদেশের।
উল্লেখ্য, কোনো একটি স্থানের মাটি, পানি, আবহাওয়া, জলবায়ু এবং ওই স্থানের জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি যদি কোনো একটি অনন্য গুণমানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তাহলে সেটিকে জিআই হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। একই গুণমানসম্পন্ন সেই পণ্য ওই এলাকা ছাড়া অন্য কোথাও উৎপাদন করা সম্ভব নয়।
দেশে প্রথম জিআই সনদ পায় জামদানি। পরে ঢাকাই মসলিন, রাজশাহীর সিল্ক, রংপুরের শতরঞ্জি, নেত্রকোনার সাদামাটি, দিনাজপুরের কাটারিভোগ, কালিজিরা চাল, ইলিশ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাত আম জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পায়। এসব পণ্য বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্য হিসেবে সারা বিশ্বে পরিচিতি পেয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।