প্রয়াত বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় তাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  তিনি বলেন, মওদুদ ব্যারিস্টারি পাস করে ১৯৬৯ সালে বাংলাদেশে আসেন।  তিনি কবি জসীমউদদীনের মেয়ের জামাই বলে সবসময় তার প্রতি একটু সহানুভূতি ছিল।  কিন্তু কিছু কিছু কাজ তার সবসময় একটু ভিন্ন ধরনের ছিল। যার কারণে ১৯৭৩ সালে তাকে একবার গ্রেফতারও করা হয়।  কারণ বাংলাদেশের কিছু গোপন তথ্য তিনি সেই সময় পাচার করছিলেন।  কবি জসীমউদ্দিন সাহেব নিজে এসেছিলেন আমাদের বাসায়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কাছে অনুরোধ করলে তখন তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদ ও আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মাহমুদ-উস-সামাদ চৌধুরীর মৃত্যুতে বৃহস্পতিবার সংসদে শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।  শোক প্রস্তাবের পর আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মওদুদের রাজনৈতিক জীবন নিয়ে  কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আরেকজন ভদ্রলোকের কথা বলতেই হয়- ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। যদিও কখনো ছাত্রলীগ করেননি। তিনি সব সময় একটু সরকার ঘেঁষাই ছিলেন। তবে ব্যারিস্টারি পাস করে ১৯৬৯ সালে যখন বাংলাদেশে আসেন… জানেন যে তিনি কবি জসীমউদ্দিনের মেয়ের জামাই বলে সব সময় তার প্রতি একটা সহানুভূতি ছিল।

সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৬ মার্চ মারা যান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ। তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।

স্বাধীনতার পর কবি জসীমউদ্দীনের জামাতা ব্যারিস্টার মওদুদকে দেশের প্রথম পোস্ট মাস্টার জেনারেল করা হয়েছিল।

পরে জিয়াউর রহমানের সঙ্গে যোগ দেন মওদুদ। বিএনপি গঠনে তার ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। জিয়া তাকে মন্ত্রী ও পরে উপপ্রধানমন্ত্রী করেছিলেন।

জিয়ার মৃত্যুর পর মওদুদ হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের হাত ধরেন। এরশাদের নয় বছরের শাসনামলে তিনি মন্ত্রী, উপপ্রধানমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী এবং উপরাষ্ট্রপতির দায়িত্বও পালন করেন।

এরশাদ সরকারের পতনের পরও জাতীয় পার্টিতেই ছিলেন মওদুদ। ১৯৯৬ সালের সংসদ নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর তিনি বিএনপিতে ফেরেন। ২০০১-২০০৬ মেয়াদে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারে তিনি আইনমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।