স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী বলেছেন, উপকূলীয় অঞ্চলসহ সারা দেশে নিরাপদ পানি সরবরাহে ‘ন্যাশনাল ওয়াটার গ্রিড লাইন’ চালুর পরিকল্পনা করছে সরকার।

এছাড়া, আঞ্চলিক পানি সমস্যা সমাধানে ‘আন্ত:সীমান্ত ওয়াটার গ্রিড লাইন’ চালু করার জন্যও সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী।

তিনি আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘The Regional Centre on Urban Water Management’-RCUWM এ বাংলাদেশের পক্ষে গভর্নিং বোর্ড মিটিং-২০২১ এ সংযুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।

উল্লেখ্য, পানি সেক্টরের উন্নয়নে সদস্য দেশসমূহের সক্ষমতা বৃদ্ধি, গবেষণা এবং কৌশল বিনিময়ের উদ্দেশ্যে ২০০২ সালে UNESCO এর তত্ত্বাবধানে RCUWM গঠন করা হয়।

মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলের পানি লবনাক্ত হওয়া ছাড়াও দেশের কিছু কিছু এলাকায় নিরাপদ সুপেয় পানি সরবরাহ একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ‘ন্যাশনাল ওয়াটার গ্রীড লাইন’ তৈরির মাধ্যমে জোন এবং সাব-জোন করে পানি সরবরাহ করতে পারলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সম্ভব হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এ জন্য মন্ত্রী ‘The Regional Centre on Urban Water Management’- RCUWM থেকে তথ্য-প্রযুক্তিসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা কামনা করেন।

আন্তঃসীমান্ত ওয়াটার গ্রিড লাইন চালুর প্রসঙ্গে RCUWM গভর্নিং বোর্ডর সদস্য মোঃ তাজুল ইসলাম জানান, এই অঞ্চলের অনেক দেশে পানি প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত রয়েছে। আবার কিছু দেশের প্রয়োজনের তুলনায় পানির স্বল্পতা রয়েছে। সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সমন্বয়ের মাধ্যমে সকল দেশের পানির সমস্যা সমাধান করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

সুপেয় পানির চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশ এবং আন্তঃসীমান্ত ওয়াটার গ্রীড নির্মাণ সংক্রান্ত ধারণাটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে RCUWM সদস্য দেশসমূহের মধ্যে নিয়ে যাওয়ার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের প্রস্তাব করেন তিনি ।

এ প্রসঙ্গে রাশিয়া রোমানিয়া এবং গ্রীসের উদাহরণ দিয়ে তিনি প্রশ্ন উত্থাপন করে বলেন, ইউরোপের দেশগুলোতে এ ধরনের কানেক্টিভিটি থাকলে আমাদের এই অঞ্চলে কেন থাকবে না। এই অঞ্চলের মানুষের জন্য নিরাপদ পানি সরবরাহে আঞ্চলিক সহযোগিতার কোনো বিকল্প নেই।

মোঃ তাজুল ইসলাম পানি এবং স্যানিটেশন সেক্টরে বাংলাদেশের বিভিন্ন অর্জন বিশেষ করে বাংলাদেশে সুপেয় পানির কাভারেজ, ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার, স্যানিটেশন সংক্রান্ত পদক্ষেপসমূহ গভর্নিং বোর্ড সভায় উপস্থাপন করলে উপস্থিত সকলে প্রশংসা করেন।

বাংলাদেশ নদী-মাতৃক এবং হিমালয় কোষের ডাউনস্ট্রিমে থাকায় পানির খুব একটা সমস্যা নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান বাংলাদেশে ৯৮ শতাংশ মানুষ পানির আওতায় এসেছে। এছাড়া, ৫০ শতাংশের উপরে ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহার হচ্ছে ।

ইরানের জ্বালানি মন্ত্রীর সভাপতিত্বে ইরাক, মিশর, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, জার্মানি এবং তুরস্কসহ ১৮টি দেশের পানি সংক্রান্ত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, UNESCO, UNDP, FAO, WMO, IWA, IsDB সহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং বেশ কয়েকটি পর্যবেক্ষণ সংস্থা বোর্ড সভায় অংশগ্রহণ করে।

শুভেচ্ছান্তে-

মোঃ হায়দার আলী
জনসংযোগ কর্মকর্তা
এলজিআরডি মন্ত্রণালয়
০১৭২২০৯৫৫৮৫