প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী মার্চে সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাইয়ের শাসকের আমন্ত্রণে তিনি এ সফরে যেতে পারেন।
রোববার দুবাইয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের মধ্যে একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়। সেখানে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে পর্যালোচনা করেন। এ সময় সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে আগামী মার্চ মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে যাওয়ার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতৃত্ব ও গত পাঁচ দশকে তাদের অসাধারণ সাফল্যের প্রশংসা করেন। এ সময় তারা বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে কিছু বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজনে সম্মত হন।
উভয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের কথা স্মরণ করেন এবং দুই দেশের জনগণের পারস্পরিক সুবিধা ও সহযোগিতার জন্য সব ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
বৈঠকে দুই দেশের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা, বর্ধিত বিমান ও সামুদ্রিক সংযোগ বিশেষ করে দুই দেশের সমুদ্র বন্দরের মধ্যে সরাসরি শিপিং সংযোগ স্থাপন এবং নির্বিঘ্নে সরাসরি কার্গো ফ্লাইট চালু করার বিষয়ে পারস্পরিক প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন।
উভয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা, সংস্কৃতি, বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে সহযোগিতা, আইসিটি, আইওটি এবং ডিজিটালাইজেশনে সহযোগিতার ক্ষেত্রে নতুন রূপ তুলে ধরতে সম্মত হন, যাতে সম্পর্ককে আরও উন্নীত করা যায়।
ড. মোমেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় তাদের অব্যাহত সহযোগিতা ও সমর্থন কামনা করেন।
উল্লেখ্য, পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে মোমেনের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ১০ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি দ্বিপক্ষীয় সফরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে গেছেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।