বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে অতি সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাসে কুৎসা রটনা করেছেন মোহাম্মদ শামসুল আলম নামে এক নিউ ইয়র্ক প্রবাসী। স্ট্যাটাসটিকে ‘গালগল্প’ হিসেবেই দেখছেন নেটিজেনরা।

স্ট্যাটাস প্রদানকারী শামসুল আলম বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার এপিএস ছিলেন এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তিনি বিদেশে বসে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এমন কুৎসা রটনা করেছেন,বাস্তবে যার কোন ভিত্তি নেই। উল্লেখ্য খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ৪৬০ টি সুটকেস নিয়ে সৌদি আরব সফরে গিয়েছিলেন, যখন খালেদা জিয়ার এপিএস ছিলেন এই সামসুল আলম। যা ওই সময় দেশে ও বিদেশে ব্যাপক সমালোচনা ও জল্পনা কল্পনার জন্ম দিয়েছিল। চোর ভোর রাতে গোসল করতে গিয়ে অন্য আরেকজন ব্যক্তিকে গোসল করতে যেয়ে তাকে চোর ভাবার গল্প এখানে প্রণিধানযোগ্য।

এদিক ওমর ফারুক নামে সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী ২২ সেপ্টেম্বর মোহাম্মদ শামসুল আলমের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের জনগণের কাছে ক্ষমা প্রার্থনার করতে বলা হয়েছে সেই নোটিশে। ক্ষমা না চাইলে দেওয়ানী ও ফৌজদারি অধিক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়।

জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে ৫০ জন ব্যবসায়ী ছাড়াও পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, পররাষ্ট্রসচিব, সংসদ সদস্য আব্দুস সোবহান গোলাপ ও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা রয়েছেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা এক দেশ থেকে অন্য দেশে সফরে গেলে ব্যক্তিগত জিনিসপত্র সাথে নিয়ে যাবেন এটা খুবই স্বাভাবিক।আর রাষ্ট্রীয় সফরে ৫০ জন অতিথির ৩২ নয় ৫০ টি সূটকেস থাকারই কথা,কিন্তু হিসেবে কমই ছিল।এই অতি সাধারণ বিষয়টি না বুঝে নয় বরং পরিকল্পিতভাবেই মিথ্যাচার করা হয়েছে বলেই মনে করছেন তারা।

বিশ্লেষ্করা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর সঙ্গীদের সাথে থাকা ৩২ টি সুটকেস নিয়ে যে মন্তব্য শামসুল আলম করেছেন তা জাতির জন্য খুবই লজ্জাজনক ও অবমাননাকর।

তার স্ট্যাটাস শুধু প্রধানমন্ত্রী বা বঙ্গবন্ধুকে খাটো করা হয়নি অবজ্ঞা ও আঘাত করা হয়েছে বাংলাদেশের মানুষকে। এই স্ট্যাটাসকে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের মানুষের প্রতি অবমাননাকর বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।