করোনার আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে সরকারের পক্ষ থেকে জনসাধারণের মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। দেশের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে গ্রহণ করা হয়েছে ‘নো-মাস্ক নো-সার্ভিস’ নীতি। এছাড়া মাস্ক পরিধান নিশ্চিত ও মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে মাঝে মধ্যে অভিযান চালাচ্ছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এর ফলে বিভাগীয় শহর রংপুরের দোকানগুলোতে বেড়েছে মাস্ক বিক্রি।

মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে নগরীর জাহাজ কোম্পানি মোড়, শাপলা চত্বর, পায়রা চত্বর, ওয়ালটন মোড়, সুপার মার্কেটসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ফেরি করে মাস্ক বিক্রি করছেন ভ্রাম্যমাণ দোকানিরা। ক্রেতারাও ফুটপাথের দোকান থেকে কিনছেন মাস্ক।

জানা গেছে, এসব দোকানে ওয়ান টাইম সার্জিক্যাল মাস্ক প্রতিটি ৫ টাকা, তার চেয়ে একটু উন্নত কাপড়েরটি ২০-৩০ টাকা। এছাড়া ডাবল পার্টের উন্নত মাস্ক ৫০-১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেএন৯৯ মাস্ক বিক্রি হচ্ছে মান অনুযায়ী ৫০-১০০ টাকায়। আবার বিভিন্ন কোম্পানির নাম সম্বলিত কাপড়ের মাস্ক বিক্রি হচ্ছে ৩০-৬০ টাকায়।

নগরীর জাহাজ কোম্পানি এলাকায় কথা হয় মাস্ক বিক্রেতা সাইদুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘করোনার প্রথম সময় ফেরি করে মাস্ক বিক্রি করে ভালো ব্যবসা করেছিলাম। মাঝখানে বন্ধ ছিলো। ফের সংক্রমণ বাড়ায় আবারো বিক্রি শুরু করেছি। গত এক সপ্তাহ ধরে বিক্রি বেড়েছে। এখন দিনে দেড় থেকে দুই হাজার টাকার মাস্ক বিক্রি হয়।’

এদিকে করোনা আক্রান্তের হার বাড়তে থাকার সুযোগে মাস্কের দাম বিক্রেতারা বাড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।
ক্রেতা আফজাল হোসেন নামের এক যুবক বলেন, গত বছর যে মাস্ক কিনেছিলাম ৩০ টাকায় সেই মাস্ক এবার ৬০ টাকা। হঠাৎ করে দোকানগুলোতে মাস্ক বিক্রি বেড়ে গেছে। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দোকানিরা মাস্কের দাম বেশিও নিচ্ছে।

এদিকে রংপুরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, মঙ্গলবার জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭২ জন।

রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. আবু মো. জাকিরুল ইসলাম বলেন, ‘নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। করোনা প্রতিরোধে অবশ্যই জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহারের বিকল্প নেই।’