বৃষ্টির কারণে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা থেকে টঙ্গী হয়ে আবদুল্লাপুর পর্যন্ত সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
রোববার (৩০ মে) রাত থেকেই থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার (৩১ মে) বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানজটের পরিধি আরও বৃদ্ধি পায়। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার মেহেদী হাসান ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, সকালে চান্দনা চৌরাস্তা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার সড়কের উভয় দিকে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ যানজট আরও বেড়ে যায়।
টঙ্গী ব্রিজের পর থেকে স্টেশন রোড, চেরাগআলী, গাজীপুরা, বোর্ড বাজার, ছয়দানা, বাসন সড়ক, ভোগড়া বাইপাস ও চান্দনা চৌরাস্তা মোড় পর্যন্ত যানজট রয়েছে। এতে অফিসগামী মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। কামাল আহমেদ নামে এক যাত্রী বলেন, ‘গাজীপুর হতে উত্তরায় যেতে যেখানে সময় লাগে ১ ঘণ্টা, যানজটের কারণে এখন সময় লাগছে ৪-৫ ঘণ্টা। এ কারণে অফিস যেতে খুব কষ্ট হচ্ছে। এর সঙ্গে আবার বৃষ্টি পরছে। সব মিলিয়ে খুব খারাপ অবস্থা।’ শরমিলা শিরিন নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তা জানান, সকালে থেকে বৃষ্টি ও কাদার কারণে ধীর গতিতে যান চলাচল করছে। যার ফলে যানজট বেড়ে গেছে। বিআরটিসির চলমান কাজ ও রাস্তা ভাঙার কারণে তীব্র যানজট লেগেই থাকছে। এখানকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। তৌহিদ মিজান নামে এক বেসরকারি কর্মকর্তা জানান, একটু বৃষ্টিতেই টঙ্গী স্টেশন রোডে কোমর পর্যন্ত পানি উঠে যায়। এই জলাবদ্ধতা ও অতিরিক্ত গাড়ির চাপেই যানজট তৈরি হয়েছে। আসছে বর্ষায় এই ভোগান্তি বাড়বে মনে হচ্ছে। সহকারী পুলিশ কমিশনার মেহেদী হাসান জানান, উত্তরা আব্দুল্লাহপুর থেকে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত বিআরটিসির উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলছে। এছাড়া রাতে বৃষ্টি হয়ে বিভিন্ন স্থানে পানি জমে আছে। যার কারণে গত রাত থেকেই মহাসড়কে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে তারা যানজট নিরসনে কাজ করছেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।