ডা. আজাদ খান, ব্যুরো চিফ ময়মনসিংহ: সিভিল সার্জন এর কার্যালয় জামালপুর ও সমাজ উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (এসপিকে) ‘র উদ্দোগে, ইউনিসেফ এর সহযোগিতায় এবং সিভিল সার্জনের কার্যালয়, জামালপুর এর বাস্তবায়নে সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর/২৩ ইং) সকালে এসপিকে র হলরুমে ডেঙ্গু বিস্তার প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম “উঠান বৈঠক” অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত উঠান বৈঠক কার্যক্রম অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন মোহাম্মদ এনামুল হক, প্রধান নির্বাহী, সমাজ উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (এসপিকে)।
সভাপতিত্ব করেন, ইঞ্জিনিয়ার মোঃ শহিদুল্লাহ, সভাপতি, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) জামালপুর জেলা শাখা।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, খন্দকার বদরুল আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা, সিভিল সার্জন কার্যালয, জামালপুর।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক এমএইচ মজনু মোল্লা, সভাপতি, বাংলাদেশ মানবতা ফোরাম, রাশিদা ফারুকি, সভাপতি, অগ্রগামী দুস্থ মহিলা সংস্থা, গণমাধ্যম ও মানবাধিকার কর্মী, আন্তর্জাতিক সাংবাদিক সংগঠন ই-প্রেস ক্লাব এর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রধান, বাপা জামালপুর জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ডা. মোঃ শফিকুল ইসলাম আজাদ খান, সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট অরগানাইজেশান (এসডিও) ‘র
নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মাদ রফিকুল ইসলাম সরকার, রাশিদপুর বটতলা সিবিও ‘র নির্বাহী পরিচালক মুস্তাকিমা প্রমুখ।
শহরের ফুলবাড়িয়া, দড়িপাড়া, মুন্সিপাড়া, পশ্চিমপাড়া এলাকার মহিলারা উঠান বৈঠক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় সারাদেশ ডেঙ্গু সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রধান অতিথি সহ সকলে ডেঙ্গু সচেতনতায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে যেতে হবে, আতঙ্কিত না হয়ে ডেঙ্গু সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন করে এডিস মশার বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে তবেই আমাদের ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে সফলতা অর্জন সম্ভব।
প্রধান অতিথি তার মূল্যবান বক্তব্যে বলেন-
ডেঙ্গু প্রতিরোধে এগিয়ে আসুন, ডেঙ্গু একটি ভাইরাসজনিত রোগ যা এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়। এই মশা সাধারণতঃ ভোরবেলা ও সন্ধ্যার পূর্বে কামড়ায়। সাধারণ চিকিৎসাতেই ডেঙ্গু জ্বর সেরে যায়, তবে ডেঙ্গু শক সিনড্রোম এবং হেমোরেজিক ডেঙ্গু জ্বর মারাত্মক হতে পারে। বর্ষার সময় সাধারণত এ রোগের প্রকোপ বাড়ে। এডিস মশার বংশ বৃদ্ধি রোধের মাধ্যমে ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধ করা যায়।
আপনার ঘরে এবং আশেপাশে যে কোন জায়গায় পানি জমতে না দেয়া। ফলে এডিস মশার লার্ভা জন্মাতে পারবে না।
ব্যবহৃত পাত্রের গায়ে লেগে থাকা মশার ডিম অপসারণে পাত্রটি ব্লিচিং পাউডার দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করতে হবে।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয়:
ফুলের টব, প্লাস্টিকের পাত্র, পরিত্যক্ত টায়ার, প্লাস্টিকের ড্রাম, মাটির পাত্র, বালতি, টিনের কৌটা ডাবের খোসা / নারিকেলের মালা, কন্টেইনার, মটকা, ব্যাটারী শেল ইত্যাদিতে এডিস মশা ডিম পাড়ে। কাজেই এগুলো বর্জ্য হিসেবে ব্যবস্থা নেয়া।
অব্যবহৃত পানির পাত্র ধ্বংস অথবা উল্টে রাখতে হবে যাতে পানি না জমে। দিনে অথবা রাতে ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারী ব্যবহার করুন
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।