করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে জারি করা লকডাউনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ৬ষ্ঠ দিনেও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটের ফেরিতে যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে।
রোববার (২৭ জুন) সকাল থেকে ফেরিতে ঢাকা ও দক্ষিণবঙ্গগামী উভয়মুখী হাজার হাজার যাত্রী পারাপার হচ্ছে। সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনে বিগত কয়েকদিনের চেয়ে রোববার ফেরিতে যাত্রী ভিড় সবচেয়ে বেশি। পণ্যবাহী ও জরুরিসেবার যানবাহনের সঙ্গে ফেরিতে গাদাগাদি করে মানুষ পার হচ্ছে। করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গাজীপুর, মাদারীপুর, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, রাজবাড়ী ও গোপালগঞ্জ জেলায় গত ২২ জুন সকাল থেকে কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে। এই সব জেলা যানবাহন চলাচল ও দোকানপাঠ বন্ধ রয়েছে। শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুট লকডাউন জারিকৃত জেলার মধ্যে পড়েছে। এই নৌরুটে ফেরি চালু থাকলেও তাতে শুরু জরুরিসেবা ও পণ্যবাহী যানবাহন পারাপার করছে। কিন্তু ফেরি ঘাটে ভেড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাতে শত শত যা্ত্রী উঠে যাচ্ছে। তবে ঘাটে স্প্রিডবোট ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। প্রতিটি ফেরিতে দেখা যাচ্ছে, অল্প সংখ্যক যানবাহনের সঙ্গে যাত্রীর ভিড়। সকাল থেকে দক্ষিণবঙ্গগামী যাত্রীর ভিড় ছিল বেশি। ঢাকামুখী যাত্রীর সংখ্যাও ছিল চোখে পড়ার মতো।
আগামী ১ জুলাই থেকে সারা দেশে সর্বাত্মক শুরু হতে যাচ্ছে। এতে বিপুল সংখ্যক মানুষ ঢাকা থেকে গ্রামে যাচ্ছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়াঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শাফায়েত আহমেদ বলেন, এই নৌরুটে ১৫টি ফেরি সচল রয়েছে। সকাল থেকে যাত্রীর ভিড় রয়েছে। তবে গাড়ির চাপ নেই। লকডাউনের নিয়ম অনুযায়ী জরুরিসেবা ও পণ্যবাহী যানবাহন পারাপারের কথা থাকলেও যাত্রীরা ঘাটে আসছে এবং জোর করে ফেরিতে উঠে যাচ্ছে।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ (টিআই প্রশাসন) মো. জাকির হোসেন বলেন, লকডাউনের নির্দেশনা মানার জন্য আগত যাত্রীদের আহ্বান জানানো হচ্ছে। কিন্তু যাত্রীরা বিভিন্নভাবে ঢাকা থেকে গ্রামে যাওয়ার উদ্দেশে শিমুলিয়া ঘাটে আসছে। আবার বাংলাবাজার ঘাট থেকেও এসে যাত্রীরা ঢাকা যাচ্ছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।