বাগেরহাটের শরণখোলায় দেনার চাপ সহ্য করতে না পেরে আব্দুল্লাহ (৩০) নামে এক যুবকের আত্মহত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার (১৩ মার্চ) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে চালের পোকা দমনের ওষুধ খেয়ে অসুস্থ হলে হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান তিনি।
আজ সোমবার (১৪ মার্চ) সকালে হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
আব্দুল্লাহ উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের মধ্য নলবুনিয়া গ্রামের মৃত আবুল হাশেম পেয়াদার ছেলে।
সে স্থানীয় নলবুুনিয়া বাজারে চায়ের দোকান দিতেন। পাশাপাশি বিকাশের এজেন্ট ছিলেন বলে জানা গেছে। তার স্ত্রীর নাম রিনা আক্তার। ফাতেমা নামে আড়াই বছর বয়সী তার একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
এদিকে আত্মহত্যার আগে আব্দুল্লাহর লেখা একটি চিরকুট উদ্ধার করেছেন তার স্বজনরা। তাতে লেখা আছে, ‘আমি মো. আব্দুল্লাহ, আপনাদের কাছে আমার আবেদন, আমি মারা গেলে আমার সহায়-সম্পত্তি বিচিয়া আমার দেনা দিয়া দিবেন। আর একটি কথা আমার সমম্পত্তি আমার ভাইবোনকে দিবেন না। দেনা দিয়া যে জমি থাকবে সেই জমিতে আমার বৌ আর মেয়ে থাকবে। আমার বৌরে আর মেয়েরে কেউ তারাবেন না এটা আমার দাবি। সবাই স্বার্থপর আমি শুধু না। ইতি মো. আব্দুল্লাহ’।
তবে, তার কাছে কারা কারা টাকা পাবেন বা কতো টাকার দেনা ছিলেন, কে কিভাবে চাপ দিয়েছেন চিরকুটে তার কিছুই লিখে যাননি।
নিহতের বড় ভাই আব্দুল হালিম পেয়াদা জানান, আব্দুল্লাহ কি কারণে আত্মহত্যা করেছেন তা তিনি জানেন না। তার ভাই স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আলাদা থাকতেন। তার বোন-ভগ্নিপতি রাতে ফোন করে তাকে অসুস্থতার খবর জানান। পরে হাসপাতালে গিয়ে ভাইকে মৃত দেখতে পান।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আলমগীর তালুকদার জানান, আব্দুল্লাহ চায়ের দোকানের পাশাপাশি বিকাশেরও এজেন্ট ছিল। বিকাশ থেকে নাকি বেশ কিছু টাকা হ্যাক করে নিয়ে গেছে। এছাড়া বাইরেও বিভিন্ন লোক তার কাছে টাকা পাবেন বলে শুনেছি। এসব কারণে মানসিক চাপে আত্মহত্যা করতে পারে।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান জানান, চিরকুটের বিষয়টি জানা নেই। তবে, দেনার চাপই আত্মহত্যার কারণ বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে। মৃত্যুর বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।