মোঃ আহসান হাবীব সুমন জেলা প্রতিনিধি জামালপুর: ভোক্তা অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের জন্মগত অধিকার। কিন্তু রাষ্টীয় পৃষ্ঠপোষকতা ও নাগরিক দায়বদ্ধতার অভাবে এখন সকল ক্ষেএে আমাদের ভোক্তা অধিকার বিপন্ন।

বর্তমানে তেল ও চালের মৃল্য আকাশচুম্বী। ব্যাবসায়ীদের সাথে সমঝোতা করে বাজার স্থিতিশীল রাখার অপচেষ্টা চলছে।

কিন্ত পণ্য মজুদ ও বাজার মনিটরিং -এ সরকারী সংস্থা সমৃহের দুর্বল তদারকির কারণে যারা ভোক্তাদের পকেট কাটার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন তাদের কোন শাস্তি হয়নি।

সরকারী সুযোগ সুবিধার পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের বাড়তি মুনাফার অংশও তাদের পকেটে যাচ্ছে। এটা সরকারী চাকুরীজীবিদের সম্পদের হিসাব প্রকাশ না করার কুফল।সংশ্লিষ্ট সরকারী দপ্তর সমৃহ এ বিষয়ে নিশ্চুপ।

কিছু দিন আগে বিশ টাকার পেঁয়াজের মৃল্য যখন ষাট থেকে দুইশত টাকা হয়েছিল তখন আমরা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরেরও কার্যকর ভূমিকা দেখতে পাইনি। সরকারী ভাবে পেঁয়াজ ও আলুর দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও ভোক্তারা তার সুফল পায়নি।

ভোক্তা অধিকার সুরক্ষার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কী কী উদ্যোগ নিয়েছিল এবং নিচ্ছে তার কোন ব্যাখ্যাই ভোক্তারা পায়নি।চরম অনিশ্চয়তায় ভোক্তাদের পকেট থেকে হাজার কোটি টাকা লুট হয়ে যায়। তাহলে সরকারী টাকায় এদের পোষার দরকার কী ? প্রতিনিয়ত ভোক্তারা ঠকছে।

বি,এস,টি,আই আছে কিন্তু নিয়মিত বাজার মনিটরিং নেই। নিরাপদ খাবার পানির সংস্থান নেই তবুও হোটেলে/ রেস্টুরেন্ট চলছে, কোথায় খাদ্য অধিদপ্তর? কোথায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ? ইচ্ছে মত খাদ্য পণ্যের দাম বাড়ানো হচ্ছে। কিন্তু প্রতিকার নেই।মোবাইল ফোন থেকে যখন তখন টাকা কেটে নিচ্ছে। ঔষধ প্রশাসন কাজ করছে কিন্তু নকল ঔষধে বাজার সয়লাব। তদারকি, জনসচেতনতা ও প্রচারণার অভাবে ভোক্তারা প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

যেভাবে বাসাভাড়া বাড়ছে সেভাবে জনগণের আয়/বেতন বাড়ছে না।বছর বছর বাসাভাড়া বৃদ্ধির করনে ২০২৩থেকে ২০৪০ সালের মধ্যে বহু মানুষ শহর ছাড়তে বাধ্য হবেন! সিটি কর্পোরেশন সমৃহ গৃহকর আদায়ের সক্ষমতা না বাড়িয়ে নতুন করারোপ করে ভোক্তাদের পকেট কাটার সুযোগ করে দিচ্ছে। ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘনের সকল ঘটনাই ঘটছে ভোক্তাদের অনৈক্যের এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার অভাবে।

তাই আমরা কনজিউমার রাইটস-সিআরবি’র মাধ্যমে পাড়া-মহল্লা,ওয়াড,থানা ও জেলায় নগর মহানগরে সংগঠিত হয়ে স্বেচ্ছাসেবী ক্রেতা সুরক্ষা আন্দোলন গড়ে তোলার মাধ্যমে ভোক্তা অধিকার তথা ক্রেতা সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চাই। তাই আপনার অংশগ্রহণ জরুরী। অধিকার কেউ কাউকে দেয় না অধিকার অজণ করে নিতে হয়।তাই আমরাও ক্রেতা সুরক্ষা নিশ্চিত করবো সমন্বিত প্রচেষ্টায়।