লক্ষ্মীপুরে পারিবারিক ভাবে হয় প্রথম বিয়ে তার । সেই স্বামীর সংসারে থাকা অবস্থায় পরকীয়া করে দ্বিতীয় বিয়ে। টাকাপয়সা হাতিয়ে নিয়ে ছাড়েন দুই স্বামীর সংসার। পরে এক যুবকের সাথে রং নাম্বারে পরিচয়ে করেন তৃতীয় বিয়ে ।
তার কয়েক মাসের মধ্যেই মেসেঞ্জার গ্রুপে পরিচয়ে সেরে নেন আরও একটি বিয়ে। এই নিয়ে এখন পর্যন্ত পাঁচটি বিয়ে সারা হয়েছে তার। আর এসব বিয়ের পেছনে রয়েছে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাতের নানা কাহিনি।
তার নাম শারমিন আক্তার (২৮) লক্ষ্মীপুর সদরের ২নং দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের গঙ্গাপুর গ্রামের ওয়াজ উদ্দিন বেপারী বাড়ির নূর মোহাম্মদ এর মেয়ে ।
স্থানীয়দের দাবি, বিয়ে করাই যেন শারমিনের নেশা ও পেশা। বিবাহিত-অবিবাহিত যুবকদের একের পর এক ফাঁদে ফেলে সবকিছু হাতিয়ে নেওয়াই তার কাজ।
শারমিনের সর্বশেষ প্রতারণার শিকার হয়ে সর্বস্ব হারানো রিয়াদ হোসেন। শারমিনের বিরুদ্ধে ঢাকা মেট্রোলিটন পুলিশের কাছে করেন সাধারণ ডায়রি নং৫৯ রিয়াদ ছাড়াও প্রতারণার শিকার আরো ৪ যুবক।
সূত্রে জানা গেছে, শারমিন আক্তার পারিবারিক ভাবে প্রথম বিয়ে করেন একোই ইউনিয়নের নন্দনপুর গ্রামের মাসুদ হোসেন । প্রথম সংসার জীবন শুরুর মধ্যেই রামগঞ্জ উপজেলা ৮নং করপাড়া ইউনিয়নে বদপুর গ্রামের তরিকআলি মুন্সি বাড়ি ( চনার বাড়ির ) আনু মেয়ার মেজো ছেলে দেলোয়ার হোসেন এর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে বিয়ে করেন। দেলোয়ার হোসেন এর সঙ্গে ১৪ বছর সংসার জীবনে রয়েছে ১৩ বছরের একটি পুত্র সন্তান ও ৭বছরের একটি কন্যা সন্তান। সেখান থেকে অর্থ হাতিয়ে রামগঞ্জ উপজেলা ৬নং লামচর ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের বাগাইয়া বাড়ির আদু মিয়ার ছেলে মোঃ হৃদয় ( জসীম ) এর সঙ্গে পালিয়ে সেরে নেন তৃতীয় বিয়ে । জসীম টাকা জন্য অত্যাচার নির্যাতন করতো এবং দেহ ব্যবসার জন্য চাপ প্রয়োগ করলে সেখান থেকে পালিয়ে গ্রুপ কলে পরিচয় গোপন করে একোই উপজেলার ৮নং করপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ পশ্চিম বদপুরের হায়দার বাড়ির আলি আহাম্মদ এর ছেলে রিয়াদ হোসেন এর সঙ্গে ।
রিয়াদ হোসেন এর সঙ্গে বিয়ের এক বছরের মাথায় রিয়াদ কাজে থাকার সুযোগে রিয়াদের বাসার সকল মালামাল স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থ হাতিয়ে রিক্সায় করে পালিয়ে যায়। যা রিয়াদের বাসার সামনে থাকা সিসি ক্যামেরা ফুটেজে দেখা যায় ।
শারমিন আক্তার এর প্রতারণার শিকার রিয়াদ হোসেন বলেন, ‘প্রেমের অভিনয় করে আমাকে তার জালে জড়িয়ে আমি বাড়িতে ঘর করার জন্য বাসায় রাখা এক লাখ টাকা এবং আট আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন, পাঁচ আনা ওজনের একটি স্বর্ণের কানের দুল এবং আমার বাসার মূল্য বান জিনিস পত্র নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায় । আমি তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করলে তারা আমার ফোন নাম্বার ব্লক করে দেয়। আমি কোন উপায় না পেয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করি ।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।