মিজানুর রহমান মিলন, শেরপুর: মুজিববর্ষ উপলক্ষে শেরপুরে দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় উপহার হিসাবে ১৬৭টি পরিবার বিনামূল্যে দুই শতক জমি ও ১টি করে সেমিপাকা ঘর পেলেন।
আজ ২০ জুন রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ৪টি জেলায় সরাসরি ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে ঘর বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। তাঁরই ধারাবাহিকতায় শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড়ের হলদিগ্রামে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।
সময় উপস্থিত ছিলেন,জাতীয় সংসদের হুইপ বীরমুক্তিযোদ্ধা মো: আতিউর রহমান আতিক, জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট চন্দন কুমার পাল, ঝিনাইগাতী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এআরএস নাঈম ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল মাহমুদ প্রমুখ।
শেরপুর জেলার সদর উপজেলাসহ পাঁচ উপজেলার প্রতিবন্ধী, ভিক্ষুক, হাতি আক্রমনে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার, রিকশাচালক, দিনমজুর, বিধবা, কাজের মহিলাসহ ১৬৭টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের জন্য প্রতিটি বাড়ি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১লক্ষ ৯০ হাজার টাকা।
এতে মোট ব্যয় হয়েছে ৩ কোটি ১৭ লাখ ৩০ হাজার টাকা। পাকা ঘর বুঝে পাওয়ায় আনন্দে ভাসছে এসব পরিবার।
মুজিববর্ষে ‘বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’-প্রধানমন্ত্রীর এমন সিদ্ধান্তের আলোকে দেশের সব গৃহহীন ও ভূমিহীন ও পরিবারকে দ্বিতীয় পর্যায়ে ৬৪ জেলার ৪৫৯ উপজেলার ৫২ হাজার ৯শ ৪৫ পরিবারকে ২শতাংশ জমি ও একটি করে সেমি পাকা ঘর তুলে দেয়া হয়।
এরই অংশ হিসেবে সীমান্তবর্তী শেরপুর জেলার ১৬৭টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবার পাচ্ছেন এসব ঘর ও জমি। আর প্রধানমন্ত্রীর হাতে ঘর বুঝে পাওয়ায় অনেক খুশি এসব পরিবার ।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।