ধানের বাম্পার ফলন হওয়ার পরও চালের দাম বাড়ার কারণ উদ্ঘাটন করতে বলেছে সংসদীয় কমিটি। সোমবার (১২ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদের ‘কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয়কে এই কথা বলা হয়েছে।
কমিটির সভাপতি মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে কমিটির সদস্য কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক, সংসদ সদস্য মুহা. ইমাজ উদ্দিন প্রাং, মো. মামুনুর রশীদ কিরন, জয়াসেন গুপ্তা, উম্মে কুলসুম স্মৃতি এবং হোসনে আরা অংশ নেন।
এদিন গত বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের অগ্রগতি এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের সার্বিক বিষয়ে বিশদ আলোচনা হয়।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে সব অনাবাদি জমি চাষাবাদের আওতায় আনা এবং বসত বাড়িতে শাকসবজি চাষ বাড়াতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কমিটি মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে।
সেই সঙ্গে বোরো ধানের উৎপাদনের পাশাপাশি পাম, সূর্যমুখী, সরিষা ও সয়াবিনের উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা এবং ধানের বাম্পার ফলন হওয়ার পরও চালের মূল্য বাড়ার কারণ উদ্ঘাটনের জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।
এছাড়া স্বল্পমেয়াদী জাতের ধান উদ্ভাবনের মাধ্যমে বছরে তিনটি ফসল উৎপাদন এবং কৃষির ওপর গবেষণা বাড়িয়ে যুগান্তকারী অবদান রাখার জন্য কমিটি মন্ত্রণালয়কে আহ্বান জানায়।
বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভিন্ন দফতর ও সংস্থার প্রধানসহ কৃষি মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ভরা মৌসুমে চালের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে।
ব্যবসায়ী, কৃষক এবং ভোক্তা পর্যায়ে আপৎকালীন মজুতের প্রভাবে বাজারে চালের দাম বাড়ছে। গত এক মাসে মোটা চালের দাম কেজিতে ৪ থেকে ৬ টাকা বেড়েছে। একই সময়ের ব্যবধানে আটার দাম কেজিতে প্রায় ১০ টাকা বেড়েছে। সংসদীয় কমিটির বৈঠকের আগে ভরা মৌসুমে চালের দাম বৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধানে খাদ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মনিটরিং টিম।
খাদ্য মন্ত্রণালয় জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) চালের দাম কমার চেয়ে বৃদ্ধির কারণ কী তা খতিয়ে দেখতে বলেছে। কেউ কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে কি না তা দেখতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশ দেওয়া হয়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।