ঘরে ফাঁসে ঝুলছিল প্রেমের সম্পর্কের জেরে পরিবারের সবাইকে ফাঁকি দিয়ে বিয়ে করা সীমার লাশ। আর লাশের নিচে পড়ে ছিল আট মাসের গর্ভপাতের নবজাতকটি। ঢাকার উত্তর বাড্ডা এলাকায় ভাড়া বাসা ভাটারা থানা পুলিশ সীমার ও ভূমিষ্ঠ নবজাতকের লাশ উদ্ধার করে।
 
ফেনীর সোনাগাজীতে গত বছরের ৪ মে ১০ রমজান পরিবারের সবাইকে ফাঁকি দিয়ে প্রেমের সম্পর্কের জেরে পাশের এলাকার আকাশের সঙ্গে ঘর বেঁধেছিলেন সীমা। আর চলতি বছরের ২৯ মে ১৬ রমজান লাশ হয়ে বাবার বাড়ি আসলেন তিনি।
 
সীমা আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। তার ঝুলন্ত লাশের নিচেই পড়ে ছিল গর্ভের সন্তানের লাশ। ময়নাতদন্ত শেষে শুক্রবার রাতে গ্রামের বাড়িতে সীমার লাশ দাফন করা হয়।
 
সীমা সোনাগাজী উপজেলার চরমজলিশপুর ইউনিয়নের চরগোপালগাঁও গ্রামের ইতালি প্রবাসী মো.ইব্রাহীমের মেয়ে। তার স্বামী বগাদানা ইউনিয়নের মৃত ওবায়দুল হকের ছোট ছেলে আবদুল্লাহ আল মাহমুদ আকাশ। তাকে বৃহস্পতিবার রাতেই পুলিশ গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে।
 
নিহতের পরিবার জানায়, এক বছর আগে আকাশের সাথে প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে পালিয়ে বিয়ে করে জয়নাল হাজারী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী সীমা। এরপর থেকে তারা ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন ভাড়া বাসায় থাকতো।
 
বৃহস্পতিবার রাতে আকাশের মোবাইল থেকে সীমার বাবাকে ফোন করে জানানো হয় তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। ঢাকার উত্তর বাড্ডা এলাকায় ভাড়া বাসায় তার মরদেহ আছে।
 
খবর পেয়ে সীমার বাবা ইব্রাহীম ওই বাসায় গিয়ে জানতে পারেন ভাটরা থানার পুলিশ তার কন্যা ও ভূমিষ্ঠ নবজাতকে লাশ উদ্ধার করে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে শুক্রবার রাতে গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়।
 
সীমার বাবা মো. ইব্রাহীম বলেন, আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেনি। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমি ঢাকার ভাটারা থানায় আকাশকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছি। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।