নুরুজ্জামান সরকার, জেলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি:সারাদেশে ন্যায় আজকের এই দিনে ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি মদনে বাঙালি জাতির জীবনে এক গভীর রাতে ঘটে নির্মম, নিষ্ঠুর, শৈরাচারিক হত্যাকান্ড। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বীর বাঙালি স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের নিজ বাসভবনে স্ব-পরিবারে নৃশংস ভাবে হত্যা করে। এমনকি সেদিন ঘাতকের বুলেটের আঘাতে রক্ষা পায়নি ১০ বছরের নিষ্পাপ শিশু শেখ রাসেলে-ও।

এরই ধারাবাহিকতায় নীলফামারী ডিমলা উপজেলায় স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়েছে।

ডিমলা উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা আ’লীগের উদ্দেগ্যে বিভিন্ন আনুষ্ঠানিক কার্যক্রমের মধ্যে দিয়ে দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালন হয়।

আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি হিসেবে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী প্রকাশ,কবিতা, আবৃত্তি, রচনা প্রতিযোগিতা, ও বাঙালি জাতির তথা লোকজ সাংস্কৃতিক গান সহ নানান কর্মসূচি পালিত হয়।

১৫ আগস্টের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রমে উপজেলা আ’লীগের দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা (অর্ধনমিত) উত্তলন করে একটি শোক রেলী বের হয়ে শহরের ছোট ও বড় সড়ক প্রদক্ষিণ করে সর্বপ্রথম জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শ্রদ্ধায় নির্মিত বঙ্গবন্ধু ম্যুারালে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে সকল শহীদদের প্রতি ১ মিনিট নিরবতা পালন শেষে দোয়া ও প্রার্থনা কামনা করে উপজেলা প্রশাসন সহ আ’লীগের অঙ্গ সংগঠনের সকল নেতাকর্মী আলোচনা সভায় মিলিত হন।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, নীলফামারী -১ আসনের মাননীয় সাংসদ ও উপজেলা আ’লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আফতাব উদ্দিন সরকার। সঞ্চালনায় ছিলেন, উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক সরকার মিন্টু।

সভায় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা তবিবুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়শ্রী রাণী রায়, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান বাবু নিরেন্দ্র নার্থ রায়, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সিদ্দিকা, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার সামছুল হক, ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি সিরাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের ঢাকা কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সফিয়ার রহমান, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক বাবু শৈলেন চন্দ্র রায়, জেলা পরিষদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ফেরদৌস পারভেজ, উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগে নেতা এএইচএম ফিরোজ সরকার, উপজেলা ছাত্রলীগ আহবায়ক আবু সায়েম সরকার, যুগ্ম আহবায়ক আব্দুর রশীদ লেবু, ও কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ, সহ আ’লীগের সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভায় সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, ঘাতকেরা শুধু বঙ্গবন্ধুর স্ব-পরিবারকে হত্যা করেনি।১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বর গভীর রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে বে-আইনি ভাবে বন্দী থাকা মুক্তি যুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতা, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী সহ এইচএম কামরুজ্জামানকেও নৃশংস ভাবে হত্যা করে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস কোভিড- ১৯ সারা বিশ্বকে আতঙ্কিত করেছে। করোনা থেকে মুক্তির জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন ভাবে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন বিনামূল্যে করোনার টিকা মানুষের গোড়দোড়গায় পৌছে দিয়েছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে টিকার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। তাই আমরা সকলে সুস্থ জীবনযাপনে প্রত্যেকে করোনা টিকা গ্রহণ করবো। সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আলোচনা শেষ করেন।

আলোচনা শেষে প্রতিযোগিতাকারী বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।