সৈয়দ মাহমুদ শাওন,(রাজশাহী): বরেন্দ্র অঞ্চলের প্রাণ কেন্দ্র হিসাবে পরিচিত এবং খরা প্রবন এলাকা রাজশাহীর তানোরে শুকিয়ে যাচ্ছে খাল ও পুকুর, দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় প্রচন্ড খরোতাপে ঝরে পড়ছে আমের গুটি।
তানোর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পুকুর ও ডোবা-খাল গুলো দীর্ঘদিন খনন না করায় প্রচন্ড রোদ ও খরোতাপে শুকিয়ে যাচ্ছে খনন ও সংস্কার না করা খাল, বিল ও পুকুরের পানি। সেই সাথে বেশ কিছুদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় এবং প্রচন্ড রোদ ও খরোতাপে ঝরে পড়েছে গাছের আমের গুটি।
ফলে, এবছর অন্য যেকোন বছরের চেয়ে তানোরে আমের ফলন বিপর্যয় ঘটতে চলেছে। বিভিন্ন এলাকার আম গাছ গুলোতে থোকায় থোকায় প্রচুর পরিমান মুকুল অপরুপ শোভা ছড়াচ্ছিলো গাছ গুলোতে।
সেই সাথে ২০ -২৫ দিন আগেও যেসব গাছে থোকায় থোকায় মুকুলে ফাকে ফাকে উটি মারছিলো প্রচুর পরিমান আমের গুটি। সেই গাছ গুলোতেই এখন আর দেখা যাচ্ছে না আমের গুটি। প্রচন্ড রোদ ও খরোতাপে আমের গুটিগুলো ঝরে পড়ায় থোকা গুলোতে আম নেই দাঁড়িয়ে আছে ডাটা।
গত ৮ বছরের মধ্যে তানোরে এবছরই সর্বচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ ডিগ্রী ও সর্ব নিম্ন ২৬ ডিগ্রী। উঁচু ও খরা প্রবন এলাকা তানোর উপজেলায় এবছরই অন্য যেকোন বছরের চেয়ে আম ও লিচুর ফলন সব চাইতে কম হবে।
গাছে প্রচুর মুকুল দেখে আসায় বুক বেধে নতুন স্বপ্নে বিভোর হওয়া আম ও লিচু চাষীরা বর্তমানে গাছের দিকে তাকিয়ে হতাশার পাশাপাশি বুক ফাটা আর্তনাত করছেন এবং বলছেন এবছর সব চাইতে বেশী ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা।
বিভিন্ন এলাকার বাগানীরা প্রচন্ড খরোতাপে গাছে গাছে পানি ও ঔষুধ স্প্রে করে গাছের আম রক্ষার চেষ্টা করেও গাছে আম আটকাতে পারছেন না। প্রচন্ড খরোতাপ ও রোদে ঝরে পড়েছে বেশীর ভাগ গাছের আমের গুটি।
তানোর উপজেলা কৃষি অফিস সুক্রে জানা গেছে, এবছর প্রচন্ড রোদ ও খরোতাপের কারণে গাছের আম ঝরে পড়া থেকে রক্ষার জন্য বাগানীদের বিভিন্ন ওষুধ স্প্রে করার পরামর্শের পাশাপাশি গাছের গড়ায় পানিসহ ওষুধ ছেটানোর পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এবছর আমের ফলনের লক্ষ পুরন হবেনা।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।