মোঃ আজিজুর বিশ্বাস,স্টাফ রিপোর্টার নড়াইল:  নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলায় অবৈধ ট্রাক্টরের বেপরোয়া গতিতে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী,সৃষ্টি হচ্ছে যানজট, ঘটতেছে দুর্ঘটনা, নেই কোনো প্রশাসনের ভূমিকা, তাদের চোখের সামনেই চলতেছে অবৈধভাবে মাটি,ও বালু ভর্তি ট্রাক্টর। ট্রাক্টরের মাটিও বালু রাস্তায় পড়ে হচ্ছে দুর্ঘটনা, ধুলা বালির যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।

নড়াইল টু কালনা রোড,লক্ষীপাশা টু মহাজন রোডে প্রতিনিয়ত দিন রাত ভরে চলছে অবৈধ ট্রাক্টর এতে করে নেওয়া হচ্ছে বালু ও নবগঙ্গা নদীর মাটি, যাচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটায়, পুকুর ও গর্ত ভর্তিতে, এসময় লক্ষীপাশা চৌরাস্তা,লোহাগড়া সিএনবি চৌরাস্তা,সহ বিভিন্ন রাস্তায় যানজট হতে দেখা গেছে। ধুলাবালির যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ পথচারী ও স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা।

১৪/ মার্চ সোমবার দুপুরে পথচারীদের সাথে কথা বললে তারা বলেন এই ট্রাক্টর চলাচলের জন্য আমাদের খুব সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে,এদের কাজ মাঠে এরা রাস্তায় অবৈধভাবে চলাচল করার কারণে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছি আমরা,এবং ঝুঁকিতে রয়েছি,যেকোনো সময় হতে পারে দুর্ঘটনা,আমরা প্রশাসনের নজরে বিষয় টা এনে তাদের রাতের বেলায় চলাচল করার ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।

তাহলে হয়তো যানজট ও দুর্ঘটনা একটু কম হবে। একই সময়ে একজন স্টুডেন্টের সাথে কথা হলে সে বলেন বিষয়টি লোহাগড়া উপজেলা প্রশাসনের দেখা উচিৎ,এদের রাতের বেলায় চলাচল করানোর জন্য প্রশাসনের ভূমিকা রাখতে হবে, অনেক সময় লক্ষীপাশা চৌরাস্তায় দেখা যায় ট্রাফিক পুলিশের ডিউটি,কিন্তু তাদের সামনেই চলছে অবৈধ ট্রাক্টর। তাহলে কি সরিষার ভিতর ভূত, এমনটা মনে করছেন সুশীল সমাজ।

এদিকে লোহাগড়ার লক্ষীপাশা টু মহাজন রোডের কোলা দিঘলিয়া নবগঙ্গা নদীর মাটি নিতে দেখা গেছে ১০ চাকার বড় ড্রাম ট্রাকে করে এর কারনে নষ্ট হচ্ছে রাস্তা, বসে যাচ্ছে গ্রামের ইটের সলিং এর রাস্তা গুলো, তাতে করে ও নেওয়া হচ্ছে মাটি ও বালু,বাধা দিলে হতে হচ্ছে হুমকির শিকার। এবিষয়ে রাস্তায় চালিত ট্রাক্টরের ড্রাইভারদের সাথে কথা হলে তারা বলেন আমরা ট্রেন লাইনের কাজের জন্য মাটি নিচ্ছি,কিন্তু ট্রেন লাইন এলাকায় গাড়ির পিছনে গিয়ে দেখা যায়, ড্রাইভাররা মিথ্যা কথা বলছে। তারা পার ছাতরা গ্রামের অহিদুল ইসলাম এর পুকুর ভরাট করার কন্টাক নিয়ে তামিম,ও রুমান,মাটি দিচ্ছে।

ওই মাটি নেওয়া হচ্ছে পৌরসভার রাজপুর হাজীর মেয়ের ঘাট নামক এলাকার ঠিকাদার টিটোর সাইড থেকে, লোহাগড়ার কালনা ঘাট থেকে ১০/চাকার ড্রাম ট্রাকে করে দেওয়া হচ্ছে বালু,ড্রাম ট্রাকে দেওয়া নেই ত্রিফল। রং এর মত রাস্তায় পড়ছে বালু ওই বালু পথচারীদের চোখে মুখে যাচ্ছে বলে জানান পথচারীরা।

দিনের বেলায় গাড়ি চলাচল বন্ধের দাবী করেছেন সাধারণ পথচারীরা। এসময় কয়েকজন পথচারী আরও বলেন মাঝে মাঝে দেখি পুলিশ ওই গাড়ি গুলা চলা বন্ধ করে দেয়,আবার একদিন পার না হতেই আবার তারা কি করে এই গাড়ি দিনের বেলায় চালাচ্ছে। এরা রাতে মাটি নিলে হয়তো দুর্ঘটনা ও যানজট কম হবে। এ বিষয়ে প্রশাসনের নজরে আনার জন্য অনুরোধ করেন স্থানীয় লোকজন।

এবিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শেখ আবু হেনা মিলন এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন মাটি টেন্ডারে বিক্রি হয়েছে ড্রামট্রাকে করে নিতে পারবে,শুনেছি দিনের বেলায় ট্রাক্টরে করে মাটি নিচ্ছে রেল লাইনের কাজে,যদি অন্য কোথাও নেয় বা বিক্রি করে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন।

 

 

কলমকথা/ বিথী