বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১৩নং পাদ্রিশিবপুর ইউনিয়নে খ্রীষ্টান পল্লীতে নারকীয় হত্যা কান্ডের ঘটনা ঘটেছে। উক্ত ঘটনায় মানববন্ধন সহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করেছে এলাকাবাসী।

মেলকাম ডি কস্তার বসত বাড়িতে গত ৩০ জানুয়ারি গভীর রাতে একই পরিবারের ৬ জনকে অজ্ঞান করে দুর্বৃত্তরা। ধারনা করা হচ্ছে পিছনের জানালা দিয়ে প্রবেশ করে পরিবারে সবাইকে কিছু খাইয়ে অথবা নাকে ঘ্রাণ দিয়ে বৃদ্ধ পিতা মাতা সহ সকলকে অচেতন করে ফেলে তারা। সকালে দিন মজুর এবং মেলকাম ডি কস্তার স্যলক হিরা মজুমদারের ছেলে সিপন গোমেজ কাজের জন্য ডিইক গোমেজকে কাজে যেতে দেরী হওয়ায় ডাকতে আসলে প্রথমে তিনি কাউর সারা শব্দ না পেয়ে ঘরে প্রবেশ করলে পরিবারে ৬ জন সদস্যকেই বিভিন্ন স্থানে অচেতন অবস্থায় পরে থাকতে দেখতে পান।

কাইকে বাথরুমে কাউকে মেঝে পরে থাকতে দেখেন এসময় এলাকা বাসী এসে প্রথমে বাকেরগঞ্জ থানায় সংবাদ দিয়ে তাদেরকে হাসপাতালে আনা হয়। দুজনের অবস্থা আশংকা জনক হলে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরন করা হয়।

সেখানে মেলকাম ডি (সাধু) কস্তা (৯১) জ্ঞান না ফেরা অবস্থায় মৃত্যু বরন করেন। এলাকাবাসী জানান কিছু দিন পুর্বে তাদের এক আত্মীয় বিদেশ থেকে বেড়াতে আসে ঘাতকেরা স্বর্নালংকার ও টাকা পয়সা লুট করার জন্য এই ধরনের জঘন্য কাজ করেছে এসময় তারা নগত ৩০ হাজার টাকা এবং স্বনালংকার লুট করে নিয়ে যায় বলে জানানো হয়।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ১লা ফ্রেবরুয়ারী বাকী ৫ জনের ভালো ভাবে জ্ঞান ফিরে আসেনি। তাই পুলিশও তাদের কাছ থেকে কোন তথ্য এখ পর্যন্ত গ্রহন করতে পারেনী। উক্ত ঘটনায় বরিশালের সার্কেলের এ্যডিশনাল এসপি সুদিপ্ত সরকার, গোয়েন্দা সংস্থা ও বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ আলাউদ্দীন মিলন ঘটনা স্থান পরির্দশন করেছেন।

এ্যডিশনাল এসপি সুদিপ্ত সরকার জানান এর আগেও এভাবে ঘটনা ঘটেছে আমাদের তথ্য পেতে দেরী হতে পারে তবে অপরাধীকে কোন ছার দেয়া হবে না। গতকাল বয়োজষ্ঠ্যো মেলকাম ডি কস্তার লাশ দাফনের আগে নারকীয় হত্যাকান্ডের সুষ্ঠ বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদে পাদ্রিশিবপুর এলাকার সর্বস্থরের মানুষের অংশ গ্রহনে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

বিক্ষুব্ধ জনতা ঘাতকদের দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মৃত্যু মেলকাম ডি কস্তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানান বাকেরগঞ্জ থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।