ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার পাটিখালঘাটা ইউনিয়নের দক্ষিণ মরিচবুনিয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর খানের মেয়ে জোরখালী দাখিল মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী হাফিজা আক্তারকে জোরপূর্বক গভীর রাতে বাগানে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেছেন একই গ্রামের পান্না জমাদ্দারের ছেলে শফিক এবং মান্নান খানের ছেলে জহির । এই ঘটনায় হাফিজার মা রাহিমা বেগম (১৩ মে) বাদী হয়ে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে শফিক ও জহিরের নামে থানায় মামলা করেন।
হাফিজা বলেন হাসান আমারে রাত দশটার দিকে ফোন দিয়ে বাইরে নামতে বলছে। আমি বাইরে নেমে হাসানরে কোথাও দেখতে না পেয়ে যখন ঘরে আসবো এমন সময় পিছন থেকে আমার মুখ চেপে ধরে খালের ভিতরে নামিয়ে খালের ওপারে বাগানে নিয়ে যায় দুইটা ছেলে। প্রথমে আমি তাদের চিনতে পারিনি। পরবর্তীতে দেখি ওরা আমাদের গ্রামে জহির এবং শফিক। তখন ওদেরকে ধাক্কা মেরে আমি যখন চলে আসি তখন আমার ওড়না টেনে রেখে দেয়।
হাফিজার মা রহিমা বেগম বলেন রাত দশটার দিকে আমার মেয়ে বাইরে নেমেছে। কিছুক্ষণ পর যখন কাঁপতে কাঁপতে ঘরে এসে আমি দেখি ওর জামা কাপড় ছেড়া, ওর কাছে ওড়না নেই, গায়ে কাদা মাখা। তখন জিজ্ঞেস করার পর কাঁদো কাঁদো কন্ঠে বলে আমারে শফিক এবং জহির জোর করে পিছন থেকে বাগানে নিয়ে যায় এবং ধর্ষণের চেষ্টা করে আমি দৌড়ে পালিয়ে এসেছি।
ঘটনার পর শফিক ও জহির পলাতক রয়েছে তাদের সাথে কোনরকম যোগাযোগ করা যায়নি। শফিকের বাবা পান্না জমাদ্দার বলেন আমার ছেলে আমুয়া শহীদ রাজা ডিগ্রী কলেজে একাদশ শ্রেণীতে পড়ে। ওই মেয়েটা প্রেমিকের সাথে দেখা করার জন্য বাইরে নেমেছে তখন আমার ছেলে শফিক ও তার বন্ধু জহির রাস্তা দিয়ে যায়। এমন সময় ওদের দেখে ধমক দিয়ে ওরা বাড়িতে চলে আসে। ধমক দেওয়ার কারণে তাদের নামে মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা করেছে মেয়ের মা।
কাঠালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মুরাদ আলী জানান ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।