আজিজুল ইসলাম বারী, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার সির্ন্দুনা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও তার সমর্থকদের উপর হামলা, নির্বাচনী প্রচারণায় বাঁধার দেয়ার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গত দুই দিনে দফায় দফায় হামলার শিকার হয়েছে স্বতন্ত্র প্রাথী আরিফুল ইসলাম আরিফসহ উভয় পক্ষে অন্তত ১৫ জন। তবে হামলা ও নির্বাচনী প্রচারণায় বাঁধা দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী নুরল আমিন।
নির্বাচন অফিস সুত্রে জানা যায়, আগামী ২৯ ডিসেম্বর ওই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। তারা হলেন, আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী নুরল আমিন (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফুল ইসলাম আরিফ (আনারস) ও জাতীয় পার্টি সমর্থিত প্রার্থী তৌহিদ হাসান খান মুকুল (লাঙ্গল)।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফুল ইসলাম আরিফের অভিযোগ, তার নির্বাচনী প্রচারণায় বাঁধা দিচ্ছে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী নুরল আমিনের লোকজন। গত শনিবার রাতে ওই ইউনিয়নের উত্তর হলদিবাড়ী এলাকায় নুরল আমিনের ছেলে সিয়ামসহ ২০-২৫ জন তার সমর্থক স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফুল ইসলাম আরিফের সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। এতে আরিফের ৪ জন সমর্থক আহত হয়। এ সময় একটি বসতবাড়িও ভাংচুর করেন নুরল আমিনের লোকজন। ওই ঘটনার জের ধরে রোববার রাতে আবারও নুরল আমিনের লোকজন হামলা চালায়। ওই হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফুল ইসলাম আরিফসহ তার ৬ জন কর্মী ফের আহত হয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। আহতরা স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী নুরল আমিন। তার দাবী, গত রোববার রাতে পরিকল্পিত ভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফুর ইসলাম আরিফের লোকজন তার ও তার সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। এতে তিনিসহ তার পক্ষেও ৫ জন আহত হয়েছেন। তিনিসহ আহতরা স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
হাতীবান্ধা থানার ওসি শাহা আলম জানান, ওই ইউনিয়ন নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে পাল্টা-পাল্টি হামলার অভিযোগ উঠেছে। আমরা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।